পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ মার্চ: মাঠে চাষিদের আলু তুলতে দেখে তাদের সঙ্গে হাত লাগালেন তৃণমূল প্রার্থী। মঙ্গলবার চন্দ্রকোণা বিধানসভা কেন্দ্রের ব্রহ্মঝাড়ুলে মিতালী বাগকে আলু তুলতে দেখে অবাক চাষি ও খেতমজুররা। তাঁরা বলেন, জিততে পারলে ক’দিন পরে যিনি লোকসভায় যাবেন, তিনি আমাদের সঙ্গে মাঠে নেমে কাজ করবেন-এমনটা আমরা কখনও ভাবতে পারিনি।
এদিন আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী মিতালী বাগ চন্দ্রকোণায় জনসংযোগ যাত্রায় বেরিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন চন্দ্রকোণার বিধায়ক অরূপ ধাড়া, রামজীবনপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কল্যাণ তেওয়ারি সহ অন্যান্য নেতারা। ক্ষীরপাই-চন্দ্রকোণা রাস্তা থেকে কিছুটা দূরে একদল শ্রমিককে মাঠে আলু তুলতে দেখেই মিতালীদেবী মাঠে গিয়ে চাষি ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ করার সিদ্ধান্ত নেন। যেই বলা সেই কাজ। বিধায়ক বলেন, প্রার্থী সটান হেঁটে চাষের জমিতে চলে যান। সেখানে শ্রমিকদের কাছ থেকে হাতলাঙল নিয়ে নিজেই আলু তুলতে শুরু করে দেন। মাঠ থেকে আলু তুলে ঝুড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে বস্তায় ভর্তি করেন মিতালীদেবী।
মাঠে শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ করতে করতে তিনি বলেন, আমি খুব সাধারণ বাড়ির মেয়ে। ছোটবেলা থেকেই বাড়ির সব ধরনের কাজ করা অভ্যেস রয়েছে। ছবি তোলার জন্য নয়, আজ এঁদের দেখতে পেয়ে মাঠে নেমে পড়লাম।
মিতালিদেবী যাই বলুন না কেন, নির্বাচনের সময় ঘাটাল মহকুমার মানুষ এধরনের দৃশ্য দেখতে অভ্যস্ত। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও অরূপবাবুকে জোড়া বলদ নিয়ে মাঠে চাষ করতে দেখা গিয়েছিল।
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। ওই দলের চন্দ্রকোণা বিধানসভা কেন্দ্রের আহ্বায়ক সুদীপ কুশারী বলেন, ওটা নাটক ছাড়া আর কিছু নয়। রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী যেমন ক্ষণে ক্ষণে নাটক করেন, তাঁর দলের নেতা নেত্রীরাও সেটাই করছেন। এতে আর অবাক হওয়ার কী আছে!
ক্ষীরপাই শহরের বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, ওই বছরই ঘাটাল বিধানসভার তৃণমূলের প্রার্থী শঙ্কর দলুইকে সাধারণ মানুষের হয়ে ঘুঁটে দিতে, রান্নাঘরে গিয়ে মাছ ভাজতে, জ্বালানি হিসেবে কঞ্চি কাটতে, রাজমিস্ত্রির জোগানদার হিসেবে কাজ করতে দেখেছি। আসলে ভোট বড় বালাই। ওই নির্বাচনের পর অরূপবাবু বা শঙ্করবাবুকে মাঠের ত্রিসীমানায় দেখা যায়নি।