বিজেপি বিধায়কের টাকায় স্কুলে ডিজিটাল ক্লাসরুম করতে বাধা তৃণমূলের, প্রতিবাদে বনগাঁয় অবরোধ ও বিক্ষোভ অভিভাবকদের

সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা,
১২ এপ্রিল: বিজেপি বিধায়কের কোটার টাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল ক্লাসরুম করতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্য এমনই অভিযোগ অভিভাবকদের। এর প্রতিবাদের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভার পাল্লাগ্রাম পঞ্চায়েতের বেলতা গ্রামে, বেলতা প্রাইমারি স্কুলের সামনে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, বেলতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নমিতা দাস রায় সম্প্রতি ওই স্কুলের জন্য একটি ডিজিটাল ক্লাসরুমের দাবি জানিয়েছিলেন। বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার তাঁর বিধায়ক কোটার তিন লক্ষ টাকা বেলতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিজিটাল ক্লাসরুমের জন্য দেন। যে টাকায় চারটি কম্পিউটার ও একটি রুম করা হবে। সেই টাকা স্কুলে এলে প্রধান শিক্ষিকা তা করতে রাজি হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষিকা নমিতা দাস রায় বলেন, ডিজিটাল ক্লাসের জন্য শিক্ষক নেই, কোনো রুমও নেই, তাই স্কুলে ডিজিটাল ক্লাসরুম হবে না।

স্থানীয় এক অভিভাবক সুজন বিশ্বাস বলেন, এই স্কুলে যে ডিজিটাল ক্লাসরুম করার কথা ছিল তা স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বাধায় প্রধান শিক্ষিকা করতে চাইছে না। কারণ তৃণমূল নেতারা চায় না এখানকার ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা ভালো শিক্ষা পাক।

অন্যদিকে আর এক অভিভাবক অপর্ণা বিশ্বাস বলেন, আমাদের বিধায়ক স্বপন মজুমদার এই অঞ্চলের পড়ুয়াদের স্বার্থে একটি ডিজিটাল ক্লাসরুমের জন্য টাকা পাঠিয়েছেন, অথচ সেই ক্লাসরুম করতে সাহায্য করছেন প্রধান শিক্ষিকা ও তৃণমূলের নেতারা। কারণ তৃণমূল নেতরা ভাবছেন বিজেপি বিধায়কের টাকায় ক্লাসরুম হলে সামনে পঞ্চায়েত ভোটে একটিও ভোট পাবে না। সেই ভয়েতে বিজেপি বিধায়কের টাকায় কাজ করতে চাইছেন না।

বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, বিধায়ক কোটার দু’বছরের সব টাকা আমি উন্নয়নের কাজে দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান সেই সব টাকা আটকে রেখে কোনো কাজ করছে না। ক্ষুদে পড়ুয়াদের একটি ক্লাসরুম আটকে রাখতে পারলেও মানুষের এই জনরোষ আটকাতে পারবে না এই তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীরা। এই নিয়ে আমি রাজনীতি করতে চাইনা। যারা করছে তারা একদিন জবাব পাবে। শিক্ষা আটকে রাজ্যের উন্নয়ন হয় না। যদিও তৃণমূলের প্রধানকে পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *