ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে জলপাইগুড়িতে তৃণমূল বিজেপি বচসা

আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২৮ এপ্রিল: বিজেপি ডাকা ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে বিজেপি নেতা কর্মীদের বচসা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল জলপাইগুড়ি শহরের শান্তি পাড়ার উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার সামনে। বিশাল পুলিশ বাহিনী থাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় বিজেপি নেতা কর্মীরা। এরপর ওই এলাকায় আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত টোটো সংগঠন রাস্তায় নেমে কর্মনাশা ধর্মঘটের বিরুদ্ধে মিছিল করে।

শুক্রবার সকাল থেকে বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর নেতৃত্বে শহরের রাস্তায় বাইক র‍্যালি সঙ্গে শান্তি পাড়া, কদমতলা, টাউন স্টেশন এলাকায় মিছিল করল। মিছিল শেষে শান্তি পাড়ায় পৌঁছয় বিজেপি কর্মীরা। শান্তি পাড়ায় সেই সময় আইএনটিটিইইসি টোটো সংগঠনের নেতা কর্মীরা ছিলেন। ধর্মঘট সমর্থনকারী বিজেপি কর্মীরা টোটো ও বাস পরিষেবা বন্ধ করার চেষ্টা করে। এরপরেই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। আইএনটিটিইউসি ব্লক সভাপতি পূর্ণব্রত মিত্র বলেন, “যে কোনও মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক ঘটনা। তবে শ্রমিকদের পেটে গামছা বেঁধে রয়েছে এই ধরণের ধর্মঘট মানি না। আমাদের সব ইউনিট খোলা আছে। ওরা বাধা দিতে এসেছিল, বচসা হলে বিজেপি চলে যায়।”

এদিকে বিজেপি জেলা যুব মোর্চার সভাপতি পলেন ঘোষ বলেন, “তৃণমূল সরকার ধর্মঘট ডেকে ডেকে ক্ষমতায় এসেছে। এখন ওরা বড় বড় কথা বলছে।শান্তি পাড়া নয়, সব জায়গায় ধর্মঘট হচ্ছে।”

অন্যদিকে, বিজেপি ডাকা ১২ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গের ধর্মঘটে সরকারি বাস পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল বলে দাবি করেছেন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থ প্রতীম রায়। শুক্রবার সকাল থেকে সরকারি বাসের পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল বলে তাঁর দাবি। কিছু জায়গায় বাস আটকানোর চেষ্টা করে বিজেপি নেতা কর্মীরা কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। চেয়ারম্যান বাসের কর্মী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। টিকিট কাউন্টার ঘুরে দেখেন। তিনি বলেন, “জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ি, মালবাজার, হলদিবাড়ি রুটের বাসের পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। জনজীবন স্বাভাবিক ছিল। বিজেপি অনৈতিক চক্রান্তের ধর্মঘট মানুষ প্রত্যাখ্যাত করেছেন। এই কারণে সব বাসে প্রচুর যাত্রী দেখা যায়। মোট ২১টি ডিপো থেকে স্বাভাবিক দিনের মত বাস চলছে। চারশো থেকে সাড়ে চারশো বাস রাস্তায় নেমেছে যাত্রীদের পরিষেবা দিতে। ধর্মঘটের রাজনীতি মানুষ পছন্দ করে না এটাই প্রমাণ। আমি সব ডিপোতে ঘুরে ঘুরে বাসের পরিষেবা দেখছি। প্রয়োজনে আরও বাস চালানো হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *