জে মাহাতো, ঝাড়গ্রাম, ৪ ফেব্রুয়ারি: ঝাড়গ্রামে বিজেপির পাল্টা সভায় দ্বিগুণ জন সমাগম করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল। লোক সমাগমে বিজেপিকে টেক্কা দিতে দলের জেলা সভাপতি বিধায়ক এবং পঞ্চায়েত স্তরের দলীয় নেতৃত্ব টাকা জোগাড় করছেন বলে জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু জানিয়েছেন। সবকিছু প্রস্তুতি সেরে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বিজেপির সভাস্থল সেই জামদা সার্কাস ময়দানেই জেলা তৃণমূল পাল্টা সভা করতে চলেছে। গত ২৭ জানুয়ারি সার্কাস ময়দানে দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারী জনসভা করেন। সরকারি হিসেবে সেই সভায় বাস ও অন্যান্য প্রায় ৬০০টি গাড়িতে ১৭ হাজার মানুষের জমায়েত করেছিল বিজেপি। ১২ ফেব্রুয়ারি পাল্টা সভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় মদন মিত্র এবং ছত্রধর মাহাতো সহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে জেলা তৃণমূল সূত্রে জানাগেছে। জঙ্গলমহলে শুভেন্দু অধিকারীর যে দাপট রয়েছে তা ভাঙতে তৃণমূল ছত্রধর মাহাতোকে রাজনীতির ময়দানে নামিয়েছে। ছত্রধর মাহাতোর উপস্থিতিতে বুধবার ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবা টাউন হলে সেই সমাবেশের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় জেলা নেতৃত্ব চল্লিশ হাজার মানুষের সমাবেশ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। এজন্য যে বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ হবে তার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে চাপানোর পরামর্শ দিয়েছেন জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু। তিনি নিজে এক লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
এ দিনের প্রস্তুতি বৈঠকেই নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর উজ্জ্বল দত্ত সহ অনেকেই প্রশ্ন তোলেন। ছত্রধর মাহাতো তাদের জানান, জেলা নেতৃত্বের নির্দেশের অপেক্ষা না করে ব্লক ও অঞ্চল ভিত্তিক ছোট ছোট পথসভা ও প্রচার কর্মসূচি নিতে হবে। ছত্রধর মাহাতো বলেন, বিজেপির সভায় ঝাড়খন্ড রাজ্য সহ অন্যান্য জেলা থেকে লোক এসেছিল।
বিজেপির জেলা সভাপতি সুখময় সৎপথি বলেন, তৃণমূলের সভায় লোক হবে না জেনেই ওদের নেতারা টাকা কালেকশন করে লোক আনার চেষ্টা করছে। তৃণমূল এখন যতই চেষ্টা করুক জঙ্গলমহলে আর ঘাসফুল ফুটবে না। তিনি বলেন, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে লালগড়ে পরিবর্তন যাত্রা করবে বিজেপি। সেখানে ৫০ হাজার মানুষের সমাবেশ হবে।
বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে জঙ্গলমহলে জনসভায় লোক জমায়েতে টেক্কা দিতে সমান তৎপর বিজেপি তৃণমূল দু’পক্ষই।