করোনার থাবা! পুরো পরিবার সহ প্রায় অনাহারে দিন কাটছে তৃণমূল কর্মী রাজুর

বিশ্বজিত রায়, আমাদের ভারত, হাওড়া, ১৮ এপ্রিল: একসময় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী ছিলেন। যেকোনো কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। সেই পার্টির কাজ করতে গিয়েই প্যান্ডেল থেকে পড়ে পা ভেঙ্গেছে হাওড়ার বাসিন্দা রাজু বরের। ঘরে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা-মা, মুক ও বধির মেয়ে, পঙ্গু দাদা। একটা চাকরির জন্য বার বার মন্ত্রী কাছে তদবির করেও কোনও কাজ জোটেনি। এই লকডাউনে পরিবারের সকলকে নিয়ে প্রায় অনাহারে দিন কাটছে রাজুর।

হাওড়া নিশ্চিন্দা থানার জয়পুরের বিলের বাসিন্দা রাজু বর। পরিবারে ৯ সদস্য। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা, মা আছেন, এছাড়া বরদা ও বড় বৌদি। বরদা প্যারালাইসিসের রোগী, দীর্ঘদিন বিছানা নিয়েছে। বড় বৌদি পরিচারিকার কাজ করেন। ছোট ভাই রাজু বর, তাঁর স্ত্রী বেলানগরে পরিচারিকার কাজ করে কিছু আয় করেন। কিন্তু এমন হওয়ার কথা ছিল না জগদীশপুরের বাসিন্দা একমাত্র রোজগেরে রাজু বরের।

বছর কয়েক আগে পার্টি অফিস উদ্বোধন করতে মুখ্যমন্ত্রী আসবেন বলে প্যান্ডেলে কাজ করতে গিয়ে উপর থেকে পড়ে যান রাজু। পা খোয়ায় তিনি। এখন পঙ্গু। বাড়িতে নিজের এক মূক ও বধির মেয়ে সহ বরদার দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে সংসার। কিন্তু লকডাউনের জেরে স্ত্রীও কাজে যেতে পারছেন না। ফলে রোজগার বন্ধ। কাজের জন্যে এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জির কাছে এক বছর ধরে ঘুরলেও জোটেনি কোনো কাজ। কাজের বদলে তাঁকে চারটে ছাগল দেওয়া হয়েছে মাত্র। এখন ছাগল চরিয়েই দিন যায় রাজুর। লক ডাউনের জেরে তাতেও অসুবিধা। জোটেনি কোনো খাবার। এতদিনের সঞ্চয় শেষ।এবার অনাহারের পালা শুরু, চাকরীর বদলে ছাগল পাওয়া রাজুর। এ যেন নাকের বদলে নরুন পাওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *