বিজেপির পোলিং এজেন্টকে মারধর, জল চাওয়ায় মুখে প্রস্রাব করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ জুলাই: বিজেপি কর্মীকে তৃণমূলের পিকনিকে যোগ দিতে চাপ। পিকনিকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে প্রথমে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ। এরপর আহত বিজেপি কর্মী জল চাইলে তার মুখে প্রস্রাব করে দেয় তৃণমূল দুর্বৃত্তরা।

রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট মিটলেও থামছে না হিংসা। জেলায় জেলায় শাসক দলের হাতে আক্রান্ত হচ্ছে বিরোধীরা। উল্টোটাও ঘটছে কখনও। এরই মধ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের ওপর অত্যাচারের মানবতাবিরোধী অভিযোগ এল পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে। অভিযোগ, মারধরের পর বিজেপি কর্মী জল খেতে চাইলে তার মুখে প্রস্রাব করে দেয় তৃণমূলের গুন্ডারা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার মায়তা এলাকার ওই বিজেপি কর্মীকে দিন কয়েক আগে দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূল দুর্বৃত্তরা। তাকে তৃণমূলে যোগদানের জন্য হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এলাকায় তৃণমূল জেতায় পিকনিকের আয়োজন হয়েছিল। সেই পিকনিকে অংশগ্রহণ করতে বিজেপি কর্মীর কাছে টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু তার কাছে টাকা নেই বলে জানান ওই বিজেপি কর্মী। এরপর তৃণমূলের পার্টি অফিসের মধ্যেই মত্ত তৃণমূল কর্মীরা ওই বিজেপি কর্মীকে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, আহত বিজেপি কর্মী কাতরাতে কাতরাতে জল খেতে চাইলে তৃণমূলের গুন্ডারা তার মুখে প্রস্রাব করে দেয়। আহত ওই বিজেপি কর্মী বর্তমানে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি।

এই ঘটনায় রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি শমিত দাস বলেন, ‘আমাদের কর্মীকে তৃণমূলীরা তুলে নিয়ে গিয়ে ওদের দলে যোগদানের জন্য জোর দেয়। এরপর তার কাছে পিকনিকে যোগদানের জন্য টাকা চায় তারা। কিন্তু টাকা দিতে পারবেন না বলে জানালে আমাদের কর্মীকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর জল খেতে চাইলে তার মুখে প্রস্রাব করে দেয় দুষ্কৃতীরা। এটা একটা জঘন্য অপরাধ। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি। তিনি বলেন, ‘হিংসা রুখতে আমরা সব জায়গায় কড়া নজর রেখেছিলাম। ২ দিন পর এখন এসব অভিযোগ করছে কেন? ঘটনার দিন কেন এসব প্রকাশ্যে আসেনি? আষাঢ়ে গল্প ফাঁদলে হবে?’ পাড়াগত বা পারিবারিক গন্ডগোল হলেও তৃণমূলের নাম দিয়ে চালানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এভাবে বিভিন্ন এলাকায় প্ররোচনা করা হচ্ছে বলেও দাবি অজিত মাইতির।

তবে একের পর এক অভিযোগে শাসক দলের অন্তরে অস্বস্তি যে ক্রমেই বাড়ছে তা বলাই বাহুল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *