আমাদের ভারত, কলকাতা, ২২ সেপ্টেম্বর: “যে ভাবে এখন রোজ বারে বারে বৃষ্টি হচ্ছে, এই রকম আবহাওয়ার জন্য, আমাদের ছোট পূজো কমিটি গুলোর প্রস্তুতিতে খুব অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।”
চিন্তিত মুখে কথাগুলো বললেন ত্রিকোণ পার্ক সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সভাপতি পার্থপ্রতীম রায়। নিজেদের পুজোকে ‘ছোট’ বলে চিহ্ণিত করলেও পূর্ব যাদবপুরের অন্যতম বৃহৎ এবং আকর্ষণীয়, কলকাতার দূরের লোকও প্রতি বছর দেখতে আসেন।
টানা বৃষ্টি এবং পূর্বাভাসে চিন্তিত হয়ে সভাপতি বললেন, “আমরা কমিটির সদস্যরা খুবই চিন্তার মধ্যে আছি যে পুজোর আগে কাজ শেষ করা যাবে কিনা? কলকাতার যে সমস্ত পুজো কমিটিগুলো যারা থিমের পূজো করে তাদের অনেকেই পুরোপুরি ঢাকা প্যান্ডেল করে না। এছাড়া নেতা নেত্রীদের পুজো ছাড়া সব পুজো কমিটির ঢাকা প্যান্ডেল করার মতো আর্থিক সামর্থ্য থাকে না। তারা কি করতে পারবে? এটাই ভাবনার বিষয়।
সাম্প্রতিক অতীতে কি পুজোয় বা পুজোর মুখে বৃষ্টি ভুগিয়েছিল? উত্তরে পার্থবাবু বলেন, “প্রতিদিন আমরা দেখতে পারছি যে এখন সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসেই বর্ষার ঘনঘটা বেশি দেখা যায়। বিগত বছরগুলোর কথা যদি মনে করি ২০১৩, ২০১৫, ২০১৬, ২০১৯ সালে পুজোর আগে বা পুজোর সময় ব্যাপক বৃষ্টিপাতের দরুন পুজোর প্রস্তুতিপর্বে বা পুজো চলাকালীন সময়ে মানুষের খুবই অসুবিধা হয়েছে। ২০১৩ সালে তো নিম্ন চাপের দরুন পুজোর চার দিনই ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। মানুষ প্রতিমা দর্শনই করতে পারেননি। ২০১৫- ১৬ সালে সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার দরুন দর্শনার্থীদের খুবই অসুবিধা হয়েছিল। প্যান্ডেল বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
পার্থবাবুর কথায়, “১৯-এর আগে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছিল, কিন্ত পুজোর মধ্যে সেরকম হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই পুজোর চারটে দিন সবার কাছেই আনন্দের দিন, এই সময় বৃষ্টিপাত সবাইকেই অসুবিধার মধ্যে ফেলে দেয়, সেই জন্য এই সময় বৃষ্টিপাত না হওয়াই বাঞ্ছনীয়।”
এবার ৭৪ তম পুজো। এবারের পুজো শুরু না হতেই উদ্যোক্তারা শুরু করেছেন আগামী বছরের পুজো নিয়ে ভাবনাচিন্তা। হাজার হোক, প্লাটিনাম জুবিলি বলে কথা।

