আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৯ সেপ্টেম্বর: ত্রিকোন পার্ক দুর্গোৎসব পুজো কমিটির ৭৩ তম বর্ষের মণ্ডপের দ্বারোদ্ঘাটন ও দেবীর আবরণ উন্মোচন অনুষ্ঠানে এবার ছিল অভিনবত্ব। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পরিবার সহ-নাগরিক ও প্রান্তিক মানুষদের জন্য এই পুজোয় নেওয়া হচ্ছে নানা ব্যবস্থা।
স্থানীয় কয়েকটি প্রান্তিক পরিবারের পথশিশুদের দিয়ে এই উদ্ঘাটন হল বলে বৃহস্পতিবার জানান কমিটির সভাপতি বুলা রায়। তিনি বলেন, “যে শিশুদের মাথার উপর নেই কোনো ছাদ। যাদবপুর রেল স্টেশন ও স্টেশন সংলগ্ন ঝুপড়িই এই সমস্ত পথশিশুদের স্বাভাবিক বাসস্থান। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবে এদের সক্রিয় অংশগ্রহণ, উৎসবকে আরও সর্বজনীন ও সর্বাত্মক করে তুলতে সাহায্য করবে। ত্রিকোন পার্ক দুর্গোৎসব কমিটির প্রচেষ্টাও সফল হবে।
৭৩ তম বর্ষ। ভাবনা- ‘উত্তরন’। প্রতিমা শিল্পী- পরিমল পাল। গতবারের বাজেট ছিল ১৭ লক্ষ টাকা। এবারের বাজেট- ২২ লক্ষ টাকা। মণ্ডপ ভাবনা- সুব্রত সাহা ও দেবজিত চক্রবর্তী।
উদ্যোক্তারা জানান, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পরিবার সহ-নাগরিক ও প্রান্তিক মানুষদের জন্য পুজোর ৬ দিনের সহায়তা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে অঞ্চলের এ রকম দুর্বল পরিবারের শিশু ও ছোটদের জন্য (১ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত ছেলে ও মেয়ে) নতুন পোষাক, লজেন্স, বিস্কুট, কেক ও মাস্ক বিতরণ। ১ অক্টোবর, ২০২২ শনিবার (ষষ্ঠী) বেলা ১১টা থেকে অঞ্চলের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল প্রান্তিক পরিবারের পুরুষ ও মহিলাদের বস্ত্র, মাস্ক ও মিষ্টি বিতরণ। ২ অক্টোবর, ২০২২ রবিবার (সপ্তমী) জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্ম জয়ন্তী বেলা ১টা থেকে অঞ্চলের নিম্ন আয়ের প্রান্তিক সহ-নাগরিকদের মধ্যে রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হবে। ৩ অক্টোবর, ২০২২ সোমবার (অষ্টমী) বেলা ১টা থেকে অঞ্চলের মানুষের মধ্যে মহাভোগ ও প্রসাদ বিতরণ। এবং নিম্ন আয়ের সহ-নাগরিকদের ও প্রান্তিক মানুষদের জন্য মধ্যে রান্না করা খাবার (পোলাও পরিবেশন করা হবে। ৪ অক্টোবর, ২০২২ মঙ্গলবার (নবমী) বেলা ১টা থেকে অর্থনৈতিকভাবে দূর্বল সহ-নাগরিকদের জন্য দুপুরের রান্না করা খাবার (আমিষ ও নিরামিষ) বিতরণ। প্যাকেট করে বিতরণ করা হবে। ৫ অক্টোবর, ২০২২ বুধবার (দশমী) বেলা ৩টা থেকে স্থানীয় অঞ্চলের সহ-নাগরিক ও এতদঞ্চলের সকল নাগরিকদের জন্য শুভ বিজয়ার মিষ্টি বিতরণ।