আমাদের ভারত, ৭ মার্চ: রবীন্দ্রচর্চায় নীরব এক সাধককে স্বীকৃতি দিলেন প্রবীন শিক্ষাবিদ ডঃ পবিত্র সরকার। শুক্রবার সামাজিক মাধ্যমে এ ব্যাপারে তাঁর মন্তব্য জানিয়েছেন পবিত্রবাবু।
তিনি লিখেছেন, “সুধীন্দ্রনাথ দত্ত বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ বাঙালির সিদ্ধিদাতা গণেশ। কিন্তু কোন বাঙালি, কতজন বাঙালি এই ‘সিদ্ধি’ পায় বা সিদ্ধি সন্ধান করে তা বলা দুষ্কর। তবু কিছু বাঙালি আছে যাদের রবীন্দ্র-সন্ধান কখনও শেষ হয় না। তাঁরা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষক নাও হতে পারেন, হয়তো উত্তরাধিকার সূত্রে কিছু রবীন্দ্র-স্মৃতি বহন করছেন, কিন্তু তা-ই তাঁদের রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে এক অচ্ছেদ্য বন্ধন তৈরি করে দিয়েছে।
এই রকম একজন মানুষ ত্রিদিব ব্রহ্ম। তাঁর দাদু ও মা শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক ছিলেন, এই উত্তরাধিকারটুকু সম্বল করেই তিনি লিখে চলেছেন সম্পূর্ণ এক রবীন্দ্রজীবনী, ‘রবি থেকে রবীন্দ্রনাথ’। খগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, প্রশান্তকুমার পাল, সম্প্রতি বিজন ঘোষাল, এবং বাংলাদেশের আহমদ রফিকের কাজের উপস্থিতি তাঁকে দমাতে পারনি, তিনি নিজের একটি আদর্শ খাড়া করে লিখে চলেছেন খণ্ডে খণ্ডে এই বই। তাঁর সংকল্প, আশি বছর পর্যন্ত তিনি এই কাজ চালিয়ে যাবেন।
সম্প্রতি আমার বৈঠকখানায় এ বইয়ের দ্বিতীয় খণ্ডটি উন্মোচনের সুযাগ দিয়ে অযোগ্য আমাকে তিনি সম্মানিত করলেন।” প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, “কেন জানি না, এ বইয়ের প্রকাশক জোটেনি, লেখক নিজেই প্রকাশ করে চলেছেন। তাঁর ফোন ৬৩৬৯২ ৫৫৬২৩।” জবাবে ত্রিদিব ব্রহ্ম লিখেছেন, মাননীয় স্যারের প্রেরণায় আমার এই গ্রন্থের পথ চলা।‘ রবি থেকে রবীন্দ্রনাথ’ (দ্বিতীয় খন্ড) উদ্বোধন করে উনি আমাকে কৃতজ্ঞতার জালে আবদ্ধ করেছেন। সুস্থ শরীরে ওনার সদা চঞ্চলতা কামনা করি। প্রণাম জ্ঞাপন করি।”