নদিয়া জেলায় ভারতীয় কিষাণ সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ শিবির

আমাদের ভারত, কৃষ্ণনগর, ১০জুলাই:
কথায় আছে ‘কলিযুগে সঙ্ঘই শক্তি।’ সঙ্ঘবদ্ধ না থাকলে এই যুগে কোনো কাজে সাফল্য পাওয়া প্রায় অসম্ভব। বিশেষ করে কৃষকরা যদি সঙ্ঘবদ্ধ না হয় তাহলে তাদের দাবি আদায় করতে পারবে না – এই ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়েই ভারতীয় কিষাণ সঙ্ঘ সারা ভারত জুড়েই কৃষকদের সঙ্ঘবদ্ধ করার কাজ করে চলেছে।

আর সেই সঙ্ঘবদ্ধতার কাজ করতে গেলে কর্মকর্তাদের মধ্যে সংগঠন সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা দরকার। সেই ধারণা দিতেই নদিয়া জেলার কর্মকর্তাদের নিয়ে ‘অভ্যাসবর্গ’ (প্রশিক্ষণ শিবির) করল ভারতীয় কিষাণ সঙ্ঘের নদিয়া জেলা কমিটি।

কৃষ্ণনগরে বিবেকানন্দ ভবনে এই শিবিরে ভারতীয় কিষাণ সঙ্ঘের উদ্দেশ্য, কর্মপদ্ধতি ও সংগঠন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন ভারতীয় কিষাণ সঙ্ঘের পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের সহ–সভাপতি আশিস সরকার। তিনি বলেন, “ভারতীয় কিষাণ সঙ্ঘ কৃষকদের সঙ্ঘবদ্ধ করার কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি কৃষকরা যাতে ফসলের লাভজনক মূল্য পান সেই জন্যও আমরা লড়াই করছি। কৃষকই আমাদের অন্নদাতা। তারা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী না হলে দেশ আত্মনির্ভরশীল হবে না।”

এরপর জৈব পদ্ধতিতে চাষ করার জন্য কৃষকদের কীভাবে উৎসাহিত করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন ড. ব্যাসদেব চট্টোপাধ্যায়। জৈব চাষের সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরেন তিনি। জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত ফসলই আমাদের বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। বিশেষ করে এই পদ্ধতিতে ফলচাষ নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। ফলচাষ আলোচনায় বিকল্প চাষ হিসেবে মালটা ও ড্রাগন চাষের কথা বলেন ড. চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও নদিয়া জেলার জলবায়ুর নিরিখে শস্য পরিকল্পনা ও শস্যপর্যায় নিয়ে তিনি আলোচনা করেন।

নদিয়া জেলার সম্পাদক ও পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের কার্যকারিনী সদস্য মিলন খামারিয়া জানান, “একদিনের এই প্রশিক্ষণ শিবিরের মাধ্যমে কার্মকর্তারা ভারতীয় কিষাণ সঙ্ঘের কর্মপদ্ধতি ও সংগঠনের ভিত্তিগুলি সম্পর্কে জানতে পারবে। আর এই জানার মাধ্যমেই কৃষকদের সঙ্ঘবদ্ধ করা সক্ষম হবে। নদিয়া জেলার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে সংগঠন গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।”

কল্যাণী, কৃষ্ণনগর, হাঁসখালি, করিমপুর, রানাঘাট, তেহট্ট, নবদ্বীপ, চাকদাহ, হরিণঘাটা, চাপড়া প্রভৃতি ব্লক ও নগর থেকে ৪৩ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন এই শিবিরে। কল্যাণ মন্ত্রের মাধ্যমে এই ‘অভ্যাসবর্গ’ শেষ হয়। প্রত্যেক কর্মকর্তার কন্ঠে ধ্বনিত হয় ‘জয় কিষাণ, জয় বলরাম, ভারত মাতা কি জয়’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *