আমাদের ভারত, শিলিগুড়ি, ২৮ সেপ্টেম্বর: দার্জিলিং হিমালয়ান রেলকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে একগুচ্ছ উদ্যোগ নিলো রেল। পর্যটকদের সুবিধার জনু সময় পরিবর্তন করা হচ্ছে নিউজলপাইগুড়িগামী টয় ট্রেনের। পাশাপাশি বাড়ানো হচ্ছে কোচ সহ জয় রাইড। এমনকি এই প্রথমবার করা হচ্ছে ঘুম ফেস্টিভ্যাল। যার মাধ্যমে স্থানীয় সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে পর্যটকদের কাছে। বিশ্ব পর্যটন দিবসে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই ঘোষণা করলেন কাটিহার ডিভিশনের নিউ জলপাইগুড়ির এডিআরএম সঞ্জয় চিলওয়ারওয়ার।
করোনার জন্য পর্যটন শিল্পে ধাক্কা লাগলেও এবছর পুজোর মরশুমে পাহাড়ে পর্যটকদের ঢল নামতে চলেছে। ইতিমধ্যেই অক্টোবর পর্যন্ত হোটেল সহ টয় ট্রেন বুক হয়ে রয়েছে। আর তাই বাধ্য হয়ে টয় ট্রেনের কোচ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় দার্জিলিং-ঘুম জয় রাইডের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। আগে স্টিম ইঞ্জিন দিয়ে ৩টি ও ডিজেল ইঞ্জিন দিয়ে ৩টি রাইড চলত। কিন্তু চাহিদা বাড়ায় সেটা ৪টা করে করা হচ্ছে। তবে আকর্ষণীয় হতে চলেছে ঘুম ফেস্টিভ্যাল।
প্রায় মাসখানেক চলবে এই ফেস্টিভ্যাল। এধরনের অনুষ্ঠান এই প্রথম হচ্ছে পাহাড়ে। যার মূল উদ্দ্যেশ্য স্থানীয় সংস্কৃতি তুলে ধরা। পাশাপাশি দার্জিলিং–হিমালয়ান রেলকেও জনপ্রিয় করে তোলা। এবিষয়ে এডিআরএম সঞ্জয় চিলওয়ারওয়ার বলেন, আমরা পর্যটকদের সুবিধার জন্য আগামী ১অক্টোবর থেকে দার্জিলিং থেকে নিউজলপাইগুড়িগামী টয় ট্রেনের সময় পরিবর্তন করছি। আগে এই ট্রেনটি দার্জিলিং স্টেশন থেকে ছাড়ত সকাল ৮টায় এখন থেকে তা ছাড়বে সকাল ৯টায়। কারণ বেশ কিছু পর্যটক আমাদের বলেছেন সকালে খাওয়াদাওয়া করে এই ট্রেন ধরা মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল। আর তাই যাওয়ার টিকিট বুক হলেও আসার টিকিট অনেক সময়ই কম বিক্রি হয়। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। আর যাত্রী বাড়তে থাকায় আমরা কোচের সংখ্যা বাড়াচ্ছি। জয় রাইডের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের মূল আকর্ষণ হলো ঘুম ফেস্টিভ্যাল। ১৩ নভেম্বর থেকে ৫ডিসেম্বর পর্যন্ত নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফেস্টিভ্যাল পালন করা হবে। মূলত পর্যটনের প্রচার করাই আমাদের লক্ষ্য। আর তাই পর্যটকদের জন্য স্থানীয় সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে। থাকবে নাচ-গানের অনুষ্ঠান। বিভিন্ন ব্যান্ডের অনুষ্ঠান সহ চা বাগান ট্যুর, মাউন্টেইন বাইকিং এমনকি ট্রেকাথন। যে সকল পর্যটক আসবেন তারা এগুলো তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করতে পারবেন। গোটা পাহাড়ে পর্যটকদের ঢল নামতে চলেছে তাই তাদের জন্যই এই ব্যাবস্থা। প্রথমবার এধরনের ফেস্টিভ্যাল পাহাড়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।