আমাদের ভারত, ১৯ ফেব্রুয়ারি: বাঙালির করের টাকায় বাঙালির উপর অত্যাচার করছেন বহিরাগত,গুটকাখোররা। মুখ্য সচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজির বিরুদ্ধে আনা স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগে রাজ্যের দুই শীর্ষ আমলার হাজিরা রুখতে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের আইনজীবী নিয়োগ করার বিষয়টিকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সোমবার সংসদের স্বাধিকার সমিতির সামনে হাজিরা রুখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্যের মুখ্য সচিব বিপি গোপালিকা ও রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তাদের আবেদনের ভিত্তিতে হাজিরায় চার সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। এই প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু বলেন, কপিল সিব্বল আজ আদালতে সাওয়াল করে সাময়িক স্থগিতাদেশ এনে দিয়েছে। কিন্তু এরপর আমাদের উকিলরা আমাদের বক্তব্য বলবে। চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করবে।
তিনি বলেন, “কপিল সিব্বল নাকি বলেছেন আমি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেছি। মিথ্যে কথা বলেছেন। টাকিতে কোথাও ১৪৪ ধারা ছিল না।” তিনি বলেন, কপিল সিব্বল একদিন কোর্টে দাঁড়ালে ৭- ১০ লক্ষ টাকা নেন। ফলে এক্ষেত্রে তো পশ্চিমবঙ্গের জনগণের টাকা খরচ করছেন গোপালিকা সাহেব এবং রাজীব কুমার সাহেব। আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রী শুধু বহিরাগত বহিরাগত বলেন। এরা তো সবার আগে বহিরাগত। এরাতো বাঙালি না। বাঙালির টাকায় এরা বাঙালিদের অত্যাচার করবে, আর বাঙালি ট্যাক্সের টাকায় উকিল রাখবে, এটা তো চলতে পারে না।সুকান্ত মজুমদার তো বাঙালি। বিপি গোপালিকা, রাজীব কুমার তো বাঙালি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় ওরা তো গুটকা খোর। আজকে বাংলা বাঙালি কোথায় গেল?”
গত বুধবার সরস্বতী পুজোর দিন টাকি থেকে সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেন সুকান্তবাবু। টাকিতে যে হোটেলে তিনি ছিলেন তার সামনে সুকান্তবাবুকে বাধা দেয় পুলিশ। বচসা চলাকালীন পুলিশের গাড়ির উপরে উঠে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির সময় বোনেটের উপর থেকে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান তিনি। এরপর তাঁর নিজের গাড়িতে প্রায় বিনা নিরাপত্তায় টাকি থেকে বসিরহাট নিয়ে আসে পুলিশ। এই ক্ষেত্রে তার নিরাপত্তায় গাফিলতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি সাংসদ।