আমাদের ভারত, ১২ জুন:
লাগাতার বিদ্যুৎ বিপর্যয় নিয়ে তোপ দাগলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার তিনি দলের একাধিক শীর্ষ নেতাকে নিয়ে বিধাননগরে বিদ্যুৎ ভবনে যান। দেখা করেন দফতরের কর্তাদের সঙ্গে। পরে বিষয়টি নিয়ে তিনি সাংবাদিক সম্মেলন ও টুইট করেছেন।
টুইটারে তিনি লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সর্বত্রই তীব্র দাবদাহে জ্বলছে। সর্বত্রই তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রির উপরে। এমন একটি হাঁসফাঁস পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রায় সব জায়গাতেই সারাদিনে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা লোডশেডিং চলছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত কয়েকদিনে রাজ্যে বিদ্যুৎ ঘাটতির পরিমাণ:-
৬ই জুন ২১ লক্ষ ইউনিট
৭ই জুন ২৬ লক্ষ ইউনিট
৮ই জুন ৩১ লক্ষ ইউনিট
৯ই জুন ৪.৫ লক্ষ ইউনিট
সরকার বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণ করার জন্যই লোডশেডিং করে এই তীব্র গরমে রাজ্যের মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। রাজ্যের দেউলিয়া সরকার কয়লা কিনতে অক্ষম, যার ফলে কোলাঘাট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ব্যান্ডেল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট গুলি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।
এদিকে রাজ্য সরকার বিদ্যুতের এই ঘাটতির দায় চাপাচ্ছেন রাজ্যের বিদ্যুৎ গ্রাহক তথা সাধারণ জনসাধারনের উপর। এই পরিস্থিতিতে সমাধান সূত্র খুঁজতে এবং ঘাটতির বিষয় নিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিবের সাথে আলোচনা করতে বিজেপি পরিষদীয় দলের প্রতিনিধিদের সাথে বিদ্যুৎ উন্নয়ন ভবনে গিয়েছিলাম। সচিব না থাকায় আমরা পরবর্তী দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিকের সাথে কথা বলার চেষ্টা করি, কিন্তু ক্যামেরার সামনে তিনি আমাদের সাথে কথা বলতে অস্বীকার করেন এবং কার্যত পালিয়ে যান।
এই তীব্র গরমে প্রতিদিন ৪-৫ ঘন্টা লোডশেডিংয়ের ফলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যে নিদারুন কষ্ট ভোগ করছেন, আমরা তা নিবারণ করতে এবং লোডশেডিং বন্ধের দাবি নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু বিদ্যুৎ দপ্তরের কোনো আধিকারিকই কথা বলার সৌজন্যতাটুকুও দেখাননি। পরবর্তীকালে রাজ্যের বিদ্যুৎ গ্রাহক তথা সাধারণ মানুষ যখন দেউলিয়া রাজ্য সরকারের এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে পথে নামবেন তখন এই সরকারের ঘুম ভাঙ্গবে।”

