আমাদের ভারত, ১২ জানুয়ারি: তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষের সুরে বলেছেন,
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির থেকেও তোলামূল কোম্পানি বাংলার মানুষকে বেশি শোষণ করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তৃণমূল কংগ্রেসকে কোম্পানি বলে প্রায়শই কটাক্ষ করে থাকেন বিজেপির একাধিক নেতা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার আবার সরাসরি দলের এক বিধায়কের বাড়ি থেকে ১১ কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের মানুষের টাকা তোলামূলের হাতে কুক্ষিগত। সরকার চালানোর টাকা নেই। ডিএ, পেনশন, চাকরি দেওয়ার টাকা নেই। অন্যদিকে শুধু নেতাদের টাকার অভাব নেই। ”
তিনি আরও লিখেছেন,ব”মানুষের জন্য ৫০০ টাকা আর দিদির ভাইদের জন্য কোটি কোটি টাকা।” এখানে বিজেপি নেতা লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো প্রকল্পগুলির কথা মনে করিয়ে কটাক্ষ করেছেন।
প্রসঙ্গত,জঙ্গিপুরে তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি থেকে কুবরের ধন উদ্ধার করেছে আয়কর দপ্তর। জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস, গুদাম, কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে ১১ কোটি টাকা। কোথা থেকে এত নগদ টাকা এসেছে তা খতিয়ে দেখেছে আয়কর দপ্তর। জঙ্গিপুর ছাড়াও দিল্লি ও কলকাতাতে অভিযান চালিয়েছে আয়কর দপ্তর। মোট ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। জাকির হোসেনের একটি অফিস থেকেই নয় কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। এই টাকা একটি কার্টুন এর মধ্যে লুকিয়ে রাখা ছিল। সীমান্তের এলাকা বলেই এগুলি পাচারের টাকা বলেও সন্দেহ করছে আয়কর দপ্তর। আবার এর সঙ্গে কোনও হাওয়ালা যোগ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
যদিও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূলের দাবি, তাদের দলে আসার আগে থেকেই জাকির হোসেন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। বিড়ি ব্যবসা থেকে শুরু করে তার নানা ধরনের ব্যবসা রয়েছে। জাকির এবং তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল দুজনেই বলেছেন, অনেক ব্যবসায়ীকেই রোজ লেবার পেমেন্ট করতে হয়। বিপুল সংখ্যায় লেবারদের নগদে টাকা দিতে হয়। তাই তার বাড়িতে যদি টাকা থেকে থাকে তাতে তো দোষের কিছু নেই।