আমাদের ভারত, ২১ ডিসেম্বর: বাংলাদেশে হিন্দু যুবক দীপু দাসের নিশৃংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা হিন্দুদের নাড়িয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় সরব হয়েছেন রাজ্যের বহু মানুষ। ঘটনায় একাধারে যেমন ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, তেমনি এই ঘটনাকে মানবিকতার হত্যা বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নৃশংস ঘটনার ভিডিওর একটা অংশ পোস্ট করে শমীক ভট্টাচার্য লিখেছেন, একজন হিন্দু হিসেবে আজ তিনি গভীরভাবে ব্যথিত, অপমানিত এবং ক্ষুব্ধ। তাঁর অভিযোগ, দীপু চন্দ্র দাশ—একজন গরিব, নিরস্ত্র, “হিন্দু”— শুধুমাত্র তাঁর ধর্মীয় পরিচয়ের জন্য তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো।
এই ঘটনাকে অসভ্য সমাজের ঘটনা বলে দাবি করে তিনি লিখেছেন, “পিটিয়ে, গাছে ঝুলিয়ে, জীবন্ত পুড়িয়ে মারার মতো পাশবিকতা কোনো সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। অথচ আমাদের চোখের সামনে, আমাদেরই প্রতিবেশী দেশে এই বর্বরতা ঘটছে।”
হিন্দু হবার কারণে হিংসার শিকার হতে হচ্ছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের বলে দাবি করে তিনি লিখেছেন, “এই মৃত্যু শুধু একজন মানুষের মৃত্যু নয়, এটি মানবতার মৃত্যু। এটি সংবিধান, মানবাধিকার এবং সভ্যতার উপর সরাসরি আঘাত। বাংলাদেশে আজ ‘হিন্দু’ পরিচয় অপরাধে পরিণত হয়েছে। হিন্দুদের ঘরবাড়ি দখল, মন্দির ভাঙ্গচুর ও অপবিত্রকরণ, নারী অপহরণ, ধর্ষণ ও ধর্মান্তকরণের অভিযোগ বারবার উঠে আসছে।”
শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, নীরবতার সুযোগে একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা চলছে—এটা অস্বীকার করার আর জায়গা নেই।”
একই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, তার এই লেখা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নয়, এই লেখা নির্যাতনের বিরুদ্ধে, এই লেখা অন্যায়ের বিরুদ্ধে, এই লেখা হিন্দুদের বেঁচে থাকার অধিকারের পক্ষে।” তিনি আরো লিখেছেন, “আমরা প্রতিশোধ চাই না। আমরা চাই ন্যায়, আমরা চাই নিরাপত্তা, আমরা চাই সংখ্যালঘু হিন্দুদের মানবিক মর্যাদা।”
একই সঙ্গে তিনি হিন্দুদের বার্তা দিয়ে লিখেছেন, দীপু চন্দ্র দাশের মৃত্যু যেন আরেকটি সংখ্যায় পরিণত না হয়। এই আগুন যেন আমাদের বিবেকেও আগুন জ্বালিয়ে দেয়। আজ প্রতিবাদ না করলে, আগামীকাল ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।”

