আমাদের ভারত, ৪ মে: বিধানসভা নির্বাচনের পরে গত একবছরে রাজ্য কমপক্ষে ৫৭ জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হওয়ার অভিযোগে বুধবার রানী রাসমণি রোডে প্রতীকী অনশনে বসে বিজেপি। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারকে সাহায্য করার জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন বঙ্গ বিজেপির নেতা-নেত্রীরা। গত এক বছরে বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচারের অভিযোগে সরব হন সকলেই। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নীতি থেকে শুরু তৃণমূলের অন্দরে লড়াইয়ের উল্লেখ করে আক্রমণ নেতারা।এদিনে সভামঞ্চে দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, লকেট চ্যাটার্জি, অর্জুন সিং এর মত বঙ্গ বিজেপির সব নেতাই উপস্থিত ছিলেন।
এই ধর্না মঞ্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গে কর্মসংস্থানের প্রসঙ্গে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একইসঙ্গে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বালুরঘাটের সাংসদ। তিনি বলেন, আজ বাংলার মানে বাণিজ্য নয় বাংলার মানে বগটুই।
সভা মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে কটাক্ষ করেন সুকান্ত মজুমদার। তার কথায়, মুখ্যমন্ত্রী বলেন এগিয়ে বাংলা অথচ চাকরি প্রার্থীরা ধর্মতলায় অনশন করছেন। যারা নিজের যোগ্যতায় চাকরি চাইছেন তাদের ব্যথা অনুভব করুন। আজ বাংলার মানে বাণিজ্য নয় বাংলার মানে বগটুই।
এদিনের সভা থেকে একের পর এক ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানান বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, সংবিধানে কোথায় লেখা রয়েছে বিরোধী দলকে মনোনয়ন দিতে দেওয়া যাবে না। কোথায় বিরোধীদলের উপর এমন হামলা হয়?”
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দ্যেশ্যে পরামর্শের সুরে তিনি বলেন, “কেরলের মুখ্যমন্ত্রী গুজরাটে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন সুশাসন দেখার জন্য। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও যেন গুজরাতের দল পাঠান কিভাবে শিল্প হয় দেখে আসুন।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর এখন প্রধানমন্ত্রী হবার শখ জেগেছে। মুখ্যমন্ত্রী সেই স্বপ্ন কখনো পূরণ হওয়ার নয়।”
কর্মসংস্থান নিয়েও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “রাজ্যে শিল্প নেই, কর্মসংস্থান নেই। এখানে শুধু স্বপ্ন দেখানো হয়। ৪০ লক্ষ যুবক যুবতী রাজ্যের বাইরে। গ্রামে রোজগার করতে হলে তৃণমূল করতে হবে। রাজ্যের শিল্পের চাহিদা বুঝতেই মুখ্যমন্ত্রীর ১১ বছর চলে গেল। প্রতিবার লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের স্বপ্ন দেখানো হলো।”
ছবি:ভোট-পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের কাছে কথায় কথায় টাকা দাবি করেন। অথচ আমফানের টাকা পাঠালো কেন্দ্র, সেটা চলে গেল তৃণমূল নেতাদের পকেটে।