আমাদের ভারত, ২৬ মে :একের পর এক আঘাতে জর্জরিত দেশ। একদিকে মারন ভাইরাস করোনায় ত্রস্ত দেশবাসী। তার মধ্যে কোথাও হচ্ছে ভূমিকম্প, কোথাও বাদ জ্বলছে দাবানল। কোথাও ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়। এবার নতুন আঘাত পশ্চিম ভারতের একাধিক রাজ্যে। পঙ্গপালের হানা মুখের দেশের পাঁচ রাজ্য। সতর্কবার্তা ছিল। সেই মতো গত ২৬ বছরের মধ্যে ভয়ংকরতম পঙ্গপালের হানা শুরু হয়ে গেল। দেশে ঢুকেছে বিশাল পঙ্গপালের দল। আর তার জন্য বিপুল পরিমাণ শস্যের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই এই পঙ্গপাল মোকাবিলায় এবার ড্রোন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকারের কৃষি মন্ত্রক।
কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল পাঞ্জাবের পাকিস্তান সীমান্ত দিয়ে পঙ্গপাল এদেশে ঢুকে পড়তে পারে। সেই আশঙ্কা সত্যি হলো। বিরাট সংখ্যায় পঙ্গপাল ঢুকেছে দেশে। কিলোমিটারের পর কিলোমিটার উড়ে আসছে পঙ্গপালের দল। মেঘের মত ঢেকে ফেলছে এলাকা।পূর্ব আফ্রিকায় এই দলের কারণেই এমন ভাবে ফসল নষ্ট হয়েছিল যে সেখানে খাদ্যের অভাব হয়েছিল সাধারণ মানুষের। সেই দলই নাকি এসেছে এবার ভারতে এসেছে।
Locust swarms …#Jaipur
Is it time for Kaalki Avtar now? Or should we start building our own gigantic boats. #locust #swarms pic.twitter.com/bbMVUAndzf
— Manik (@Manik0226) May 25, 2020
এবারে পঙ্গপাল পোকাকে মোকাবিলা করতে ড্রোনের ব্যবহার শুরু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী কৈলাস ছবি রাজ্য সরকারের সঙ্গে ইতিমধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ড্রোনের সাহায্যে কীটনাশক স্প্রে করতে রাজস্থান সরকার টেন্ডারও ডেকেছে। এই প্রথমবার কীটনাশক স্প্রে করতে ড্রোনের ব্যবহার করা হচ্ছে দেশে।
এই সর্বনাশা পোকার দল রাজস্থান, পাঞ্জাব,গুজরাট, মধ্যপ্রদেশে উত্তরপ্রদেশে চাষের জমি নিমেষে সাফ করে ফেলে। ছেভয়ঙ্কর এই পোকা একদিনে আড়াই হাজার মানুষের খাদ্য শেষ করে দিতে পারে। এরা নিজেদের শরীরের ওজনের সমান প্রতিদিন খাবার খায়। মাত্র তিনটি প্রজনন সময় এদের সংখ্যা ১৬০০ বেড়ে যায়। আদ্রতা যুক্ত সবুজ এলাকায় এদের প্রজনন ঘটে। আর সেই জন্যই পঙ্গপাল সবুজ ফসলে ভরা জমিতে হানা দেয়। মাঠের পর মাঠ ভর্তি সবুজ ফসল খেয়ে শেষ করতে করে দেয় এরা নিমেষে।
ঝাঁসির জেলা প্রশাসক দমকল বিভাগের বিশেষ কীটনাশক নিয়ে তৈরি থাকতে বলেছে পঙ্গপাল মোকাবিলায়। পঙ্গপাল জাতীয় ফসলের ক্ষতি না করতে পারে তার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন।

