রাজেন রায়, কলকাতা, ২৬ অক্টোবর: করোনা সংক্রমণ
রুখতে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু মানুষের সচেতনতা না তৈরি হলে তা যে কোনও কাজেই আসবে না, তা যেন দেখিয়ে দিয়েছে পুজোর পর বাড়ন্ত সংক্রমণ। তবুও নিজেদের সাধ্যের মধ্যে মণ্ডপ চত্বরেই কৃত্রিম জলাধার তৈরি করে বিসর্জনে অভিনবত্ব নিয়ে এল দক্ষিণ কলকাতার ত্রিধারা সম্মিলনী পুজো কমিটি। সোমবার এই কৃত্রিম জলাধারেই বিসর্জন দেওয়া হল প্রতিমা।
প্রসঙ্গত, চিরাচরিত শোভাযাত্রা করে গঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জনের রীতি অনুসরণ করে পুজো কমিটিগুলি। তবে এবার কোভিড বিধি মেনে বেশিরভাগ পুজো শোভাযাত্রা না করলেও অনেক স্থানীয় পুজো তাদের এলাকার মধ্যে শোভাযাত্রা করেই ঘুরেছে। সব ক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষেও নজরদারি সম্ভব হয়নি।
তবে দক্ষিণ কলকাতার পুজোর ত্রিধারা সম্মিলনীর ৭৪তম বর্ষে থিম ‘কোভিড যোদ্ধা’। প্রথম থেকেই করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবদান রাখতে চেয়েছিলেন এই পুজো উদ্যোক্তারা।সোমবার ত্রিধারার পুজোর অন্যতম আয়োজক লাল্টু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রতিমা নিরঞ্জন যতই সাদামাটা ভাবে হলেও অনেক লোকের প্রয়োজন হয়। ছোট হলেও একটা শোভাযাত্রা হবেই। আর প্রতিমা লরিতে তোলা এবং নামানোর জন্য ধাক্কাধাক্কিতে শারীরিক দূরত্ব বিধি মানা অসম্ভব।’
সেই কারণেই অনেক ভেবে চিন্তে পুজোর শুরু থেকেই মণ্ডপের সামনে ২০ ফুট লম্বা এবং সমান প্রস্থের একটি চৌবাচ্চা তৈরি করা হয়েছিল। সেখানেই হল এদিন প্রতিমা নিরঞ্জন। প্রথমে ক্রেন দিয়ে মণ্ডপ থেকে প্রতিমা নিয়ে আসা হয় চৌবাচ্চায়। তারপর ‘ওয়াটার জেট’ দিয়ে প্রতিমার মাটি গলিয়ে তার কাঠামো তুলে ফেলা হয়। অন্যরকম এই ভাবনাচিন্তাকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সমাজের সকল স্তরের মানুষজনই।