রামমন্দির হাজার বছর অক্ষত রাখতে নির্মান হবে ১০০০০ তামার পাত দিয়ে, শিবলিঙ্গ মিলল মাটির তলায়

আমাদের ভারত, ২১ আগস্ট:
ইতিমধ্যেই অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মন্দির তৈরি করতে ৩৬ থেকে ৪০ মাস সময় লাগবে। প্রাচীন সনাতন স্থাপত্যের নিদর্শন বজায় রেখে মন্দির নির্মাণ হবে। হাজার বছর যাতে মন্দির অক্ষত থাকে তার জন্য কোনওরকম লোহার ব্যবহার করা হবে না মন্দিরে। তামা আর পাথর দিয়ে তৈরি হবে মন্দির।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্র সরকার শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট গঠনের পরেই শুরু হয়েছে মন্দির গঠনের জন্য জমি সমান করার কাজ। ৫ আগস্ট ভূমি পুজোয় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপরই মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে মন্দির নির্মাণ করতে মোটামুটি তিন বছর সময় লাগবে। আশা করা হচ্ছে ৪০ মাসের মধ্যেই ভারতের প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন বজায় রেখে রাম মন্দির নির্মিত হয়ে যাবে।

মন্দির যাতে হাজার বছর অক্ষত থাকে তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্রাস্ট। ভগবান শ্রীরামের মন্দির এমনভাবে নির্মাণ করা হবে যাতে ভূমিকম্প, ঝড় বা অন্য যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মন্দিরের কোনো ক্ষতি না হয়। কোনওরকম লোহা ব্যবহার করা হবে না এই মন্দিরে। তামা আর পাথর দিয়ে তৈরি হবে মন্দির।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নয়ের দশকে যখন রামমন্দির আন্দোলন তুঙ্গে তখন গোটা দেশে রামশিলা পুজো হয়েছিল। গোটা দেশ থেকে লাখ লাখ শ্রীরাম লেখা ইট গিয়েছিল অযোধ্যায়। সেইসব ইট এখনো বিশ্ব হিন্দু পরিষদের করসেবক পুরুমে রাখা আছে। কিন্তু এখন এই মন্দির কমপক্ষে যাতে হাজার বছর অক্ষত থাকে তার জন্য রামমন্দির তৈরি হচ্ছে ইটের বদলে পাথর দিয়ে।

ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে রুরকীর সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট, আইআইটি চেন্নাই এবং এল অ্যান্ড টি সংস্থার বিশেষজ্ঞরা এখন মাটি পরীক্ষার কাজ করছেন। মনে করা হচ্ছে ৩৬ থেকে ৪০ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করা যাবে।

বড় বড় পাথরের ব্লক দিয়ে তৈরি হবে মন্দির। আর প্রতিটি ব্লকের মাঝে থাকবে তামার পাত। মন্দির যাতে কমপক্ষে হাজার বছর টিকে থাকে তার জন্যই এই ব্যবস্থা। তার জন্য দেশের রাম ভক্তদের কাছে তামার পাত দান করার আর্জি জানিয়েছে ট্রাস্ট।

বলা হয়েছে ১৮ ইঞ্চি লম্বা ৩০ মিলি মিটার চওড়া এবং তিন মিলিমিটার পুরু ১০,০০০ তামার পাতের প্রয়োজন। যারা তামার পাত দান করবেন তাদের পরিবারের নাম ঠিকানা গোত্র তাতে খোদাই করে দিতে পারেন। ট্রাস্টের বক্তব্য এটা করা হলে দেশের ঐক্য যেমন রক্ষা পাবে, তেমন গোটা ভারতের অংশগ্রহণ থাকবে মন্দির নির্মাণে। এই মন্দির যাতে কমপক্ষে হাজার বছর অক্ষত থাকে সেটা নিশ্চিত করতে নির্মাণকারী সংস্থা লারসেন এন্ড টুব্রো পরিকল্পনা করছে।

সাম্প্রতি জমি সমান করার সময় পুরনো সৌধের জায়গা থেকে একটি ৪ ফুট ১১ ইঞ্চি মাপের শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে। এর আগে ওই জমির নীচে থেকে প্রাচীন মন্দিরের নানা নিদর্শন দেবদেবীর মূর্তি মিলেছে বলে দাবি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *