চিনের বিরুদ্ধে আরও বড় অর্থনৈতিক আঘাতে হানার তোড়জোড় করছে মোদী সরকার!

আমাদের ভারত, ১৮ আগস্ট: চিনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বড় পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার। তা লাদাখের সীমান্তে হোক কিংবা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। কিন্তু এবার চিনের বিরুদ্ধে আরও বড়সড় অর্থনৈতিক আঘাত হানার তোড়জোড় শুরু করেছে মোদী সরকার বলে খবর।

লাদাখে প্যাংগং তোসো ও হট স্প্রিং এলাকায় এখনও পর্যন্ত রীতিমতো ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছে চিনের লালফৌজ। পিছু হটার কোনো নামগন্ধ নেই পিপল লিবারেশন আর্মির। অর্থাৎ নিজের আগ্রাসন অবস্থানে অনড় রয়েছে চিনা ফৌজ।

তাই চিনাকে সবক শেখাতে টিকটক সহ বেশির ভাগ চিনা অ্যাপ ব্যান করেছে মোদী সরকার। তার সাথে চিনা পন্য বর্জন সহ বেশকিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাও লাগু করা হয়েছে। এছাড়াও মোবাইল সহ তথ্য প্রযুক্তির বেশ কিছু সংস্থা চিন ছেড়ে ভারতে নিজেদের কারখানা খোলার উদ্যোগ শুরু করে। আর এতেই চিনা অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে।

কিন্তু এবার শোনা যাচ্ছে চিনের বিরুদ্ধে আরো বেশ কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা লাগু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কেন্দ্র সরকার। আর এর মাধ্যমেই চিনকে কড়া বার্তা দিতে চাইছে মোদী সরকার। অর্থাৎ সীমান্তের সাথে এবার বাণিজ্য ক্ষেত্রে সরাসরি আঘাত হানতে চাইছে ভারত। সিএসজি’র এক উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিক সূত্রে এই খবর জানা গেছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী কেন্দ্রের গঠিত চায়না স্টাডি গ্রুপ(সিএসজি) সোমবার একটি বৈঠক করেছে লাদাখে চিনেরআগ্রাসী গতিবিধি নিয়ে। এই গ্রুপে রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সেনা কর্তা,অভিজ্ঞ আমলারা। এই গোষ্ঠীর চিনের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপের রূপরেখা তৈরি করছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইছে চিন নানা অজুহাতে। কিন্তু মোদী সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য, লাদাখ সেক্টরে পরিস্থিতি আগের মত স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত চিনের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করা হবে না। যদিও চিনা সেনার বক্তব্য তারা লাদাকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নিজেদের আগের অবস্থান থেকে সরে গিয়েছে।

গত ৫ জুলাই ভারত ও চিনের প্রতিনিধির মধ্যে দু’ঘণ্টা বেশি যে বৈঠক হয়েছিল তাতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল উভয় পক্ষই ধীরে ধীরে সেনা সরিয়ে নেবে। কিন্তু এক মাস কেটে গেলেও চিনের তরফে সেনা সরানোর কোন চেষ্টাই দেখা যায়নি লাদাখের প্যাংগং তোসো ও হট স্প্রিং এলাকায়। ফলে মোদী সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। একদিকে সীমান্তে অশান্তি আবার সমান্তরালভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক ও বাণিজ্য। এই সবকিছু কখনোই একসঙ্গে চলতে পারে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *