রাজেন রায়, কলকাতা, ২৮ অক্টোবর: করোনা যে প্রতি মুহূর্তে মানুষকে নতুন পথে স্বাবলম্বী হতে শেখাচ্ছে, তার একাধিক উদাহরণ ইতিমধ্যেই পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। শোভাযাত্রা-যানজটের ভিড় এড়িয়ে দমকল ও পুরসভার ক্রেনের সাহায্যে কৃত্রিম জলাশয়ে যে প্রতিমা নিরঞ্জন করা সম্ভব, তা এবারে দেখিয়ে দিয়েছে ত্রিধারা সম্মিলনী। এবার শহরের অনেক পুজোতেই যেখানে কৃত্রিম জলাধার তৈরির জায়গা রয়েছে, সেখানে এই পথে হাঁটতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। এতে শহর জুড়ে শোভাযাত্রা বা বিসর্জনের চাপ অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করছে পুরসভা।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছরে শহর জুড়ে পুজোর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় গঙ্গার ঘাটের সংখ্যা না বাড়ায় ঘাটগুলিতে চাপ বেড়ে গিয়েছে। সেই কারণে এবার এই অভিনব পদ্ধতিতে হাঁটতে চায় পুরসভা।
এই বিষয়ে ইতিমধ্যে নির্দেশিকা জারি করেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। এই বছর ত্রিধারা পুজো কমিটি মণ্ডপের সামনে কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করে হোস পাইপ দিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করেছিল। তার তদারকিতে ছিলেন পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার। এই ত্রিধারা মডেল বাস্তবায়ন করার প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম জানান, “কৃত্রিম জলাশয় প্রতিমা রেখে অপরিশোধিত জল হোস পাইপ দিয়ে ছিটিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জনের দূষণ এড়ানো যাবে। এই নতুন পদ্ধতিটিকে কার্যকর কতটা করা যায় তা নিয়ে পুরসভার প্রশাসক মন্ডলের বৈঠকে আলোচনা করা হবে। জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায়কে মান্যতা দেওয়ার চেষ্টা করব। তবে সবার আগে বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের বিস্তারিত পরামর্শ নিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, ‘এটি ঠিকঠাক ভাবে রূপায়িত হলে গঙ্গা দূষণ তো এড়ানো যাবেই, একই সঙ্গে বহু খরচ সাশ্রয় হবে পুজো কমিটিগুলিরও।’