পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১২ আগস্ট: মধ্যরাতের বোমাবাজিতে ঘরের চাল উড়ল তৃণমূল নেতার বাড়ির। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার নন্দনপুর এলাকার। যদিও ঘটনার সময় ঘরের মধ্যে থাকায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান দক্ষিণ দিনাজপুরের আইএনটিটিইউসি’র জেলা সভাপতি মজিরুদ্দিন মন্ডল ওরফে ধলু। বুধবার সকালে ঘটনা জানিয়ে গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জেলার শ্রমিক নেতা। যদিও মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তদন্তে নামে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
জানাগেছে, রোজকার মত ওইদিন রাতেও পাকা ঘেরা দেওয়া বাড়ির বারান্দায় ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন জেলার তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা মজিরুদ্দিন মন্ডল। রাত একটা নাগাদ আচমকা তার বাড়ির উপর বোমা ফেলে দুষ্কৃতীরা। সেই সময় তিনি ঘরের মধ্যে থাকলেও প্রচন্ড শব্দে বোমা বিস্ফোরণে ভেঙ্গে যায় ঘরের চাল। মধ্যরাতের এই ঘটনায় কিছুটা হলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শ্রমিক নেতা মজিরুদ্দিন ওরফে ধলু। এদিকে বোমাবাজির এমন বিকট শব্দে ঘুম ভাঙে স্থানীয় লোকজনেরও। ছুটে আসেন আশপাশের লোকেরা। ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই এলাকায় ছুটে যান স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা।
আইএনটিটিইউসি’র জেলা সভাপতি মজিরুদ্দিন মন্ডল জানিয়েছেন, সমাজবিরোধীরা তাকে টার্গেট করেই বোমা ফেলেছিল। ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে গেছেন। ঘটনাকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। রাতের অন্ধকারে কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার সঠিক তদন্তের জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন।
জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস জানিয়েছেন, অত্যন্ত নিন্দনীয় একটি ঘটনা। নন্দনপুরের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করবার চেষ্টা চলছে। আর সেই লক্ষ্যেই তাদের দলীয় নেতার বাড়িতে এমন হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে এই ঘটনার পিছনে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। গঙ্গারামপুর থানার আইসি পুর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।