আমাদের ভারত, শিলিগুড়ি, ৫ মার্চ: দার্জিলিং পুরভোটে তৃণমূলের ভরাডুবি থেকে নতুন শিক্ষা নিচ্ছে দল। এখন থেকে আর জোট নয় একলা চলো নীতিতে এবার পাহাড়ে হাঁটতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। তাই জিটিএ এবং পাহাড়ের বাকি পুরসভা ভোটে একলা চলো নীতি নিচ্ছে তৃণমূল। ইতিমধ্যে দার্জিলিং পুরসভা ভোটের একটি রিপোর্ট দিয়ে দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে বিষয়টি জানিয়ে দিল পার্বত্য তৃণমূল।
দার্জিলিং পুরসভা নির্বাচনে এককভাবে বোর্ড দখল করেছে পাহাড়ের নতুন রাজনৈতিক দল হামরো পার্টি দল। নির্বাচনে বিমল গুরুংয়ের সাথে অলিখিত জোট করে ১০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেও পাহাড়ে মুখ থুবড়ে পড়ে জোট। কিন্তু ভোটের ফলাফলের নিরিখে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে তৃণমূল। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিমল গুরুংয়ের সাথে জোটে না গিয়ে তৃণমূল একা ৩২ টি ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলে সে ক্ষেত্রে তৃণমূলের ভালো ফল হতো। তাই দার্জিলিং পৌরসভার ভোট থেকে শিক্ষা নিয়ে আসন্ন জিটিএ এবং বাকি পুরসভা নির্বাচনে এবার একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। ইতিমধ্যে এই পাহাড়ে দার্জিলিং পুরভোটের ফলাফলের একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে হিল তৃণমূল। এই রিপোর্ট জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অলক চক্রবর্তীর মাধ্যমে তুলে দেওয়া হচ্ছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সীর কাছে। শনিবার হিল তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার চেয়ারম্যানেল
বি রাই ও সভাপতি শান্তা ছেত্রীর উপস্থিতিতে শিলিগুড়ির শ্রমিক ভবনে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অলোক চক্রবর্তীর সাথে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে পাহাড়ের ফলাফল সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে হিল তৃণমূল নেতা বিনয় তামাং বলেন, পাহাড়ে বাকি পুরসভা নির্বাচনে আর আমরা ভোটের আগে কোনো জোটে যাবো না। ইতিমধ্যে দলের সভাপতিকে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি। ভোট শেষে জোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আমাদের মনে হয় দার্জিলিং পৌরসভা ভোটে জোটে না গিয়ে সমস্ত আসনেই যদি প্রার্থী দিলে ফল আরো ভালো হতো।
অন্যদিকে হিল তৃণমূলের দার্জিলিং পুরভোটের পর্যবেক্ষক অলক চক্রবর্তী বলেন, ইতিমধ্যে পার্বত্য তৃণমূল নেতৃত্ব একটি রিপোর্ট আমাকে জমা দিয়েছে। আমি সেই রিপোর্ট দলের সভাপতিকে পাঠিয়ে দেব। তবে পার্বত্য তৃণমূল নেতারা যা বলছে সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।