আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২৯ নভেম্বর: খড়্গপুরে নিজেদের দখলে থাকা চারটি ওয়ার্ডে পরাজয় ভাবাচ্ছে তৃণমূলকে। রেল শহরের দাপুটে তৃণমূল নেতা দেবাশিষ চৌধুরীর ওয়ার্ডের পরাজয়কে বড় করে দেখা হচ্ছে। কংগ্রেস থেকে আসা প্রদীপ সরকারকে পুরসভার চেয়ারম্যান করার পর বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী করার বিষয়টি দীর্ঘ দিনের নেতা দেবাশীষ চৌধুরীর মেনে নেওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূলের আশঙ্কা ছিল শুরু থেকেই।
অভিযোগ, এজন্য তিনি তার ওয়ার্ডে গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করেননি। ফলে ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে এই আশঙ্কা থেকেই তাকে ভোটের দিন দলীয় কার্যালয়ে কার্যত নজর বন্দি করে রাখা হয় বলে খড়্গপুর শহরে গুঞ্জন ছড়ায়। বিগত পৌরসভা বোর্ড গঠনের সময় অন্যতম দাবিদার থাকলেও দেবাশিসবাবুকে এড়িয়ে প্রদীপ সরকারকে চেয়ারম্যান করা হয়। দীর্ঘদিন জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব সামলানো দেবাশিসবাবু এবার আশা করেছিলেন বিধানসভা উপনির্বাচনে তাকেই টিকিট দেওয়া হবে। কিন্তু এবারও বঞ্চিত হওয়ায় তিনি মন্তব্য করেন,”এবার ভাবার সময় এসেছে”।
তবে শুধু দেবাশীষ চৌধুরীর ওয়ার্ডেই নয়, তৃণমূল হেরেছে সুনিতা গুপ্তা, সরিতা ঝাঁ এবং প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তুষার চৌধুরীর ওয়ার্ডেও। কি কারণে নিজেদের দখলে থাকা ওয়ার্ড গুলিতে পরাজয় হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে বলে তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্ব জানিয়েছেন।