আমাদের ভারত, ১৭ ডিসেম্বর: কলকাতা পুরভোটের শেষ দিনের প্রচারে বেরিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত ভট্টাচার্য্য অভিযোগ করেন, কলকাতাতে সরাসরি বহিরাগতদের ঢোকানো হচ্ছে।
পুরভোটের জন্যই বহিরাগতদের কলকাতায় আনছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শংকর শিকদারের হয়ে প্রচারে গিয়ে এভাবেই তৃণমূলকে তোপ দাগেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্তবাবু। যদিও তাঁর অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির কথায়, “কলকাতা পৌরসভার নির্বাচনের জন্য বহিরাগতদের নিয়ে আসা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে কলকাতায় বাইরের লোকদের ঢোকানো হয়েছে। ডানকুনি থেকে প্রচুর লোক এখানে আনা হয়েছে।”
সুকান্ত মজুমদার বলেন, ডানকুনি টোল প্লাজার সিসিটিভি ফুটেজ বার করা হোক, যদি ডিলিট না করা হয়, তাহলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। দুধ কা দুধ পানি কা পানি হয়ে যাবে। একইসঙ্গে তিনি আরো দাবি করেছেন, গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলেও বাইরের জেলা থেকে অনেক লোক আনা হয়েছিল। কিন্তু সেটা নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। তবে প্রশ্ন হল, লোকগুলি কি ভোট প্রচারেই যাবে নাকি প্রচারের পরেও ভোটের সময় এখানে থেকে যাবে। এর আগে ভবানীপুরেও দেখা গেছে বাইরের লোক এসে ভোট দিয়েছে। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েও লাভ নেই, কারণ কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথ। তবে তাঁর দাবি, বিজেপির জনসমর্থন আছে সেটা আরো বাড়বে। গতবারের চেয়ে অনেক বেশি আসনে জিতবেন তারা।
যদিও রাজ্য বিজেপির সভাপতিকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, “এখানে আমাদের বহিরাগতদের আনার কোনো প্রয়োজনই পড়ে না। আমার সঙ্গে যারা রয়েছেন তারাও প্রত্যেকে চেতলার মানুষ। গোটা বাংলাটাই তো আমাদের। তাহলে আমাদের কেন বহিরাগত আনার প্রয়োজন পড়বে? সুকান্তবাবুরা অনেক কিছুই বলবেন, কারণ ওদের কোনও জনভিত্তি নেই। তাই এসব অভিযোগ করছেন। এর কোনো প্রভাব পড়বে না। গোটা বাংলা মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে।
অন্যদিকে কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে হাইকোর্টে গিয়েছিল বিজেপি। আদালতের সিঙ্গেল বেঞ্চে তাদের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও যায় গেরুয়া শিবির। সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে।