পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ জুলাই: ফির বিতর্কে জড়ালেন পশ্চিম মেদিনীপুর বিধানসভার বিধায়ক প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবির। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলের একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে অভিযোগ করা হয় সল্টলেকের পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের (WBUHS) সিসিটিভি ফুটেজে প্রাক্তন মন্ত্রী এবং ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির (প্রাক্তন আইপিএস) তার নিজের অফিসের ভেতরে সহকারী রেজিস্ট্রার প্রলয় চক্রবর্তীকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করছেন। তাকে লাথি মারছেন। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে এই ব্যক্তি একজন সরকারি কর্মকর্তাকে নির্লজ্জভাবে লাথি মারছেন (জুতা পরে), ঘুষি মারছেন এবং হয়রানি করছেন।
এরপরই শুভেন্দু অধিকারী লেখেন সহিংসতা থেকে বাঁচতে শ্রী চক্রবর্তীকে তার কর্মক্ষেত্র ছেড়ে পালাতে বাধ্য করছেন। এই লজ্জাজনক ঘটনাটি সকলের সামনে ধরা পড়েছে, তবুও স্বাস্থ্য বিভাগের নীরবতা বধির করে দিচ্ছে। এটাই কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি অনুকরণীয় শাসন? তৃণমূলের বিধায়ক হওয়া কি সরকারি কর্মচারীদের উপর সহিংসতা চালানোর সুযোগ করে দিচ্ছেন? এটা কেবল একজন ব্যক্তির উপর আক্রমণ নয়, বরং আমাদের প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা এবং আইনের শাসনের উপর আক্রমণ। সাধারণ নাগরিকদের হয়রানি করা থেকে শুরু করে এখন সরকারি কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে, তৃণমূল নেতারা মনে করেন যে তারা জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুঃশাসনের এটাই আসল চেহারা। এমন একটি রাজ্য যেখানে ক্ষমতা সুযোগ-সুবিধা, ন্যায়বিচার এবং শালীনতাকে পদদলিত করে। আমি প্রলয় চক্রবর্তীকে এগিয়ে আসার, এই ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ শেয়ার করার এবং ভয় ছাড়াই ন্যায়বিচার চাইতে অনুরোধ করছি।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, হুমায়ুন কবিরের ক্ষেত্রে দল আলাদা কোনো সিদ্ধান্ত নেবে এমনটা নয়, কিছুদিন আগেই তাকে একটি ব্যাপারে শোকজ করা হয়েছিল। এই ব্যাপারেও দল তার সঠিক সিদ্ধান্তই নেবে তবে এটুকু বলতে পারি। দল অন্যায় কোনো ঘটনা ঘটলে তার ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলে।