আমাদের ভারত, হগলী, ২২ সেপ্টেম্বর: মঙ্গলবার সিঙ্গুর থানার নসিবপুরে বিজেপি যুব মোর্চার পক্ষ থেকে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, যারা কৃষি বিলের বিরোধিতা করছে তারা বিলটা ঠিক করে পড়েননি। কৃষি পন্যের উপর সহায়ক মূল্য বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে এই বিলে। যারা মধ্যস্বস্ত ভোগী তাদের কাছেই কৃষিপন্য বিক্রি করার যে প্রথা ছিল তা এতদিনে শিথিল করা হয়েছে। এখন থেকে কৃষকরা চাইলে বাইরেও পন্য বিক্রি করতে পারবেন। কৃষকদের ফসলের ন্যায্য দাম পাবার জন্য এই সংস্কারটা জরুরি ছিল। এদিন তৃণমূলের কালা দিবস নিয়ে তিনি বলেন, ওরা পার্লামেন্টের মধ্যে যে সার্কাস করছে তার জন্য কালা দিবস। মুখ্যমন্ত্রী ঠিক বলেছেন, বিলের জন্য কিংবা ভারত সরকারের সিন্ধান্তের জন্য কালা দিবস নয়, ওদের সার্কাসের জন্য কালা দিবস। তৃণমূল দলটাই সার্কাস ও জোকারের দল। ওরা মনে করছে পার্লামেন্টটা আরামবাগ। সন্ত্রাস করে চলবে। সেটা তো হতে দেওয়া যায় না। ওরা যা করছে করুক, গান টান করুক। বাকি জীবনটা গান করেই কাটিয়ে দিক।”
বিজেপি ক্ষমতায় এলে সিঙ্গুরে কৃষকদের সাথে আলোচনায় বসে সিঙ্গুরের অন্ধকারময় জীবনকে শেষ করতে হবে বলেও তিনি জানান। প্রয়োজনে শিল্প আসবে, কৃষি কাজও হবে। আলোচনা করে শিল্প ও কৃষি দুই করা হবে। সিঙ্গুরে মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি ভিত্তিক শিল্প হাব নিয়ে তাঁর বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গুরটাকে কি করেছেন সেটা দেখছেন। এখানে বেচারাম, কেনারামরা একহাতে বেচছে, একহাতে কিনছে। যার ফলে সিঙ্গুরের সর্বনাশ হচ্ছে। সিঙ্গুরে যা করতে হবে কৃষকের সাথে আলোচনা করেই করতে হবে। সহায়ক মূল্য থাকবে না বলে বিরোধীরা যা বলছে তার উত্তরে তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রী কালকেই সহায়ক মূল্য বাড়িয়েছেন। যারা বলছে ভুল বলছে এবং বিলটা না জেনে বলছে। রাতভর দিল্লিতে বিরোধীদের ধর্না নিয়ে তার কটাক্ষ, “কলকাতা সে আয়া মেরা দোস্ত, খাও পিও মজ করো।”