সামাজিক দূরত্বের বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করেই জনসভা তৃণমূলের, কটাক্ষ বিরোধীদের

আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ২ সেপ্টেম্বর: করোনা পরিস্থিতি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষের জমায়েত করে দু দুটি জনসভা করল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলিতে যুব তৃণমূলের ডাকে সম্বর্ধনা ও যোগদান সভার আয়োজন হয়। অন্যদিকে জয়নগরে তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে একটি যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুটি সভাতেই হাজার হাজার কর্মী সমর্থক বিজেপি, এসইউসিআই, সিপিএম ও কংগ্রেস দল থেকে এদিন তৃণমূলে যোগদান করেন বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

বুধবার সকালে কুলতলির ডাঃ বি আর আম্বেদকর কলেজ মাঠে প্রথম সভাটি অনুষ্ঠিত হয় যুব তৃণমূল নেতা গনেশ মণ্ডলের উদ্যোগে। সেই সভায় অন্তত পঞ্চাশ হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। করোনা পরিস্থিতি উপেক্ষা করে এই সভায় যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী, যুব সভাপতি শওকত মোল্লা, জেলার আইএনটিটিইউসি নেতা শক্তিপদ মণ্ডল সহ অন্যান্য নেতৃবর্গ। এদিন একদিকে যেমন প্রায় পঞ্চাশ হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থক উপস্থিত হয়েছিলেন তেমনি প্রায় সাড়ে তেরো হাজার কর্মী বিজেপি, সিপিএম,
এসইউসিআই ও সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেন। এই বিপুল জন সমাবেশ কিভাবে করোনা আবহাওয়ায় করলেন তৃণমূল নেতারা তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।

বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সুনিপ দাস বলেন,
“করোনা আবহাওয়ায় এই ধরণের জন সমাবেশ করে তৃণমূল নেতারা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিলেন। কুলতলিতে এমনিতেই করোনা সংক্রমণের প্রকোপ বেশি বিডিও নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাই কিভাবে পুলিশ প্রশাসন এই সভার অনুমতি দিল?”
শুধু হাজার হাজার মানুষের সমাবেশ নয়, এদিন বহু মানুষের মুখে মাস্কও ছিল না বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। ফলে এই সমাবেশের পর কুলতলি ব্লকে করোনার সংক্রমণ আরও বাড়লে তার জন্য তৃণমূলের নেতারাই দায়ী থাকবেন বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

একই দাবি করেছেন সিপিএম ও এসইউসিআই নেতারা। যদিও তৃণমূল নেতারা এসব পাত্তা দিতে নারাজ। যুব তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লা বলেন, “ দেশে বিজেপি নামক ভাইরাসই মানুষজনকে বেশি ক্ষতি করছে। তাই সেই ভাইরাসকে দেশ থেকে উৎখাত করতে তৃণমূল পথে নেমেছে। করোনা ভাইরাসের জন্য ভয় পেয়ে ঘরে বসে থাকলে হবে না।”

অন্যদিকে এদিন জয়নগরে স্থানীয় বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের উদ্যোগে অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে কয়েক হাজার কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। সেই যোগদান অনুষ্ঠানে ও হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *