আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ১৫ মে: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটল। ভাঙড়ের কাশীপুর থানার ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। পঞ্চায়েত অফিস ভাঙ্গচুরের পাশাপাশি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকেও মারধরের ঘটনা ঘটে। সরকারি ঘর ভাগ বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেজিনা খাতুন খাতায় কলমে প্রধান হলেও তার স্বামী তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ইব্রাহিম মোল্লার অঙ্গুলি-হেলনে পঞ্চায়েতের সমস্ত কাজকর্ম হয়। ইব্রাহিম মোল্লা পঞ্চায়েতের কোনও দায়িত্বে না থাকলেও সারাক্ষণ পঞ্চায়েতে থেকে নিজের দাপট দেখায় বলে অভিযোগ। ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আবুয়া বুথের পঞ্চায়েত সদস্য তথা যুব তৃণমূলের নেতা খয়রুল ইসলামের সঙ্গে ইব্রাহিম মোল্লার এ নিয়ে বচসা বাধে এদিন। খয়রুল ইসলামের দাবি, তার নিজের বুথের প্রাপ্য সরকারি ঘর ইব্রাহিম মোল্লা তাকে না জানিয়ে নিজের পছন্দ মতন লোকদের দিচ্ছিল। পঞ্চায়েত সদস্যদের অন্ধকারে রেখে এইভাবে কেন ঘর দেওয়া হচ্ছে তার কৈফিয়ত নিতে এদিন এসেছিল খয়রুল ইসলাম। সেখানেই বচসা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষ। তারপর খয়রুলের অনুগামীরা পঞ্চায়েতের ভিতরে ঢুকে পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙ্গচুর চালায়। অফিসের চেয়ার ও কম্পিউটার সহ কয়েকটি বাইক ভাঙ্গচুর করা হয়।
খবর পেয়ে কাশিপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় লাঠিচার্জ করে ভিড় ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙ্গচুর ও মারধরের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে উভয়পক্ষের দুজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে আহত খয়রুল ইসলাম ও ইব্রাহিম মোল্লাকে জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়। ঘটনায় উভয়পক্ষ কাশিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে।