আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ১০ মে: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল ভাঙড়ে। ভাঙড় থানার বামুনিয়া গ্রামের ঘটনা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয়। খবর পেয়ে ভাঙড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় মূল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। স্থানীয় যুব তৃণমূল কর্মীদেরকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় তিন যুব তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি। বোমাবাজির ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা যৌথভাবে বেরোলে পালিয়ে যায় মূল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা।
যুব তৃণমূল কর্মীদের দাবি, ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাউজারা আহম্মেদের অনুগামীরা প্রায় যুব তৃণমূল কর্মীদের কটুক্তি করার পাশাপাশি এলাকা ছাড়া করার হুমকিও দিচ্ছিল। সেই নিয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তথা এলাকার যুব তৃণমূল নেতা সুবীর নস্কর কথা বলতে গিয়েছিল মূল তৃণমূল কর্মী আজগার মোল্লা, খোকন মোল্লাদের সঙ্গে। সেখানে বচসা হওয়ার পর সুবীর নস্কর ফিরে আসে। তার কিছুক্ষণ পর কাইজার আহমেদ অনুগামী আজগার খোকন মোল্লা সদলবলে বোমাবাজি করতে করতে বামুনিয়া গ্রামে ঢুকে সুবীর নস্কর সহ তার দুই অনুগামীকে মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে জোটবদ্ধ ভাবে বেরোলে পালিয়ে যায় মূল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ভাঙড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বোমাবাজির পর এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে তাজা বোমা। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে চারটি বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এর পাশাপাশি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে খোকন মোল্লা ও আজগার মোল্লাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে এই ঘটনায় এলাকার তৃণমূল নেতা জানান, যদি এমন ধরণের জঘন্যতম কাজ কেউ করে থাকেন প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। এর জন্য আমি বা আমার দল দায়ী নয়। দল এই ধরনের মানুষদের কোনও মতেই সমর্থন করে না। তবে ঘটনাটি পারিবারিক ঘটনা বলে শুনেছি। তা নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের রূপ দিয়ে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে একদল কর্মী। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে।