আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ১৭ সেপ্টেম্বর:
এক তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দুষ্কৃতিরা সকলেই যুব তৃণমূলের লোকজন। পাল্টা যুব তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগও উঠেছে এলাকার তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার সোপানের মোড় এলাকায়। ঘটনায় গুরুতর জখম তৃণমূল কর্মী আলি হোসেনকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় সেখানে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
বুধবার রাতে কাবাডি খেলা দেখে মোটর বাইকে করে বাড়ি ফিরছিল আলি হোসেন। অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে যুব তৃণমূল কর্মীরা। এলাকার যুব তৃণমূল নেতা ইন্দ্রজিৎ সর্দারের নেতৃত্বে মারধর করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ সেখান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আক্রান্ত আলি হোসেনকে। এলাকায় তৃণমূল নেতা খতিব সর্দারের অনুগামী হওয়ার কারণেই তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
আলি হোসেন বলেন, “এলাকায় তৃণমূল দল করি। অঞ্চল সভাপতি খতিব সর্দারের অনুগামী হওয়ায় আমাকে যুব তৃণমূলের নেতা ইন্দ্রজিৎ সর্দার ও তাঁর লোকেরা মারধর করেছে। আমাকে বার বার যুব দলে যোগ দিতে বলেছিল ওরা। আমি যোগ না দেওয়ায় আমার উপর হামলা হয়েছে।”
খতিব বলেন, “ দিনের পর দিন যুব তৃণমূলের নাম করে এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছে ইন্দ্রজিৎ ও তাঁর দলবল। আসলে ওরা তৃণমূল নয় ওরা বিজেপি দল করে।” ইন্দ্রজিৎ বলেন, “ এই ঘটনায় যুব তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। মিথ্যা বদনাম দেওয়ার চেষ্টা চলছে যুব তৃণমূলের বিরুদ্ধে”।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর পরেশ রাম দাস বলেন, “এই এলাকায় তৃণমূলের কোনও বিবাদ নেই। ঠিক কি কারণে ঐ কর্মীকে মারধর করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”