আমাদের ভারত, আরামবাগ, ১১ ডিসেম্বর: তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হুগলির খানাকুল। এই ঘটনায় সাত জন বিজেপি এবং তৃণমূলেরও বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক আহত হযয়েছেন। কয়েকজনের বাড়িও ভাঙ্গচুর করা হয়েছে। তৃণমূলের সন্ত্রাসে ৬০ জন বিজেপি কর্মী সমর্থক ঘরছড়া বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে হুগলি খানাকুল নতীবপুর এক নম্বর অঞ্চলের জয়রামপুর এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে খানাকুল থানার ওসি বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে উপস্থিত হন। পরে এলাকা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত, মঙ্গলবার রাতে নতিবপুর ১ নম্বর অঞ্চলের জয়রামপুরে তৃণমূলের একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে। তৃণমূলের অভিযোগ, মিছিল চলাকালীন ওই এলাকরা বিজেপি কিছু কর্মীরা এসে মিছিল বানচাল করে দেবার চেষ্টা করেন। মহিলা কর্মীদের আক্রমণ করে। বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। একজন পঞ্চায়েত সদস্যকে গুরুতর জখম অবস্থায় খানাকুল হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে খানাকুল থানায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। তৃণমূল নেতা নজিবুল করিম করিমের নেতৃত্বে বিক্ষোভ হয়।
সেই ঘটনার পর আজ সকালে পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দু’পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। বিজেপির অভিযোগ, বুধবার সকালে তাঁদের কর্মী সৌমেন ঘোষ জয়রামপুর এলাকায় একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন, তখন তৃণমূলের লোকজন মিলে তাকে রড ও লাঠি দিয়ে মারধর করে। এরপর বিজেপির বেশ কিছু কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙ্গচুর চালায়। সাত জন বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয। ঘটনার পর থেকে ৬০ জন কর্মী বাড়ি ছাড়া।
ছবি: তৃণমূলের আহত পঞ্চায়েত সদস্য।
এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এই ঘটনায় বিজেপির সাতজন আহত হয়েছেন। আহত সাতজনের এর মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতলে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় তৃণমূলের বাধা দেয় বলে অভিযোগ। তাদের বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে।
বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, আমাদের কিছু কর্মী সমর্থকদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হয় তৃণমূলের বেশকিছু লোকজন। তাদের মারধর করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙ্গচুর করা হয়েছে। অনেক কর্মীরা ঘর ছাড়া আছে। তৃণমূল এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। থানায় বিজেপির পক্ষ থেকে জানিয়েও পুলিশ কোনো কাজ করেনি।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছে।