আমাদের ভারত,২৭ অক্টোবর:
গ্রেফতারি সময়ের অপেক্ষা ছিল। চোরেদের আরো আগেই গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল। বোঝাই যাচ্ছে যত চোর গ্রেপ্তার হচ্ছে চোরের রানীর ছটফটানি তত বাড়ছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারিতে এই ভাষাতে কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর দুটি বাড়িতে কুড়ি ঘন্টায় ম্যারাথন তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদে পর গতকাল গভীর রাতে বনমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরট। রাতে সাড়ে তিনটে নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স নিয়ে আসা হয় তাঁকে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর দুপুরে বনমন্ত্রীকে আদালতে তোলা হয়।
গ্রেফতারের পর সরাসরি বিজেপি ও শুভেন্দুর নাম করে তিনি গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার বলে অভিযোগ করেছেন। এদিকে এই ঘটনায় তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রাকিবুরের কাছে পাওয়া গেছে , সম্পত্তি বলার পরিবর্তে রাজত্ব বলা ভালো। এই রাজত্ব আদপে কার? কার সম্পত্তি রাকিবূরের নামে রয়েছে তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আমরা বহু চাল চুরির অভিযোগ পেয়েছি। বোঝাই যাচ্ছে, যত চোর গ্রেফতার হচ্ছে চোরের রানীর ছটফটানি তত বাড়ছে।
রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় ব্যবসায়ী রাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করার পর থেকেই তার সঙ্গে এক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ উঠে আসছিল। রাকিবুরের সঙ্গে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ছবি দেখিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন শুভেন্দু।
২০১১ থেকে ২১ পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রেশন দুর্নীতি মামলায় রাজ্য পুলিশ ২০২০, ২১ ও ২২ সালে তিনটি এফআইআর করেছিল। এফআইআর হয়েছিল রাকিবুর রহমানের সংস্থার নামে। যদিও ইডি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, এফ আই এর দায়ের হলেও গভীরে গিয়ে তদন্ত হয়নি। আর সেই কারণে রাকিবুরকে গ্রেফতার করা হয়নি। ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, অনেকেরই বয়ানে নাম উঠে এসেছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। সে অনুযায়ী গতকাল মন্ত্রী ঘনিষ্ঠতার সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে পারে এরকম বেশ কয়েকজনের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি।

