অনলাইন ক্লাসের নির্দিষ্ট সময় সীমা বেঁধে দিল এইচআরডি মন্ত্রক, জারি হলো গাইডলাইন

আমাদের ভারত, ১৫ জুন: সেই মার্চ মাস থেকে করোনার জন্য বন্ধ স্কুল। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে পড়াশোনাটা চালিয়ে যেতে হবে। তাই একমাত্র ভরসা অনলাইন ক্লাস। কিন্তু এই অনলাইন ক্লাস নিয়েও একাধিক অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে বহু জায়গায়। বহু ক্ষণ কম্পিউটার বা ফোনে সামনে বসে থাকার খারাপ প্রভাবও পড়তে শুরু করেছে শিশু তথা ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে। কোন কোন স্কুল নির্দিষ্ট সময় বিধি না মেনে ইচ্ছে মতো বহুক্ষণ ধরে অনলাইন ক্লাস নিচ্ছে। আর এই অভিযোগ পেতেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। তাই অনলাইন ক্লাসের সময় সীমা বেঁধে গাইড লাইন জারি করা হল মন্ত্রকের তরফে।

দীর্ঘসময় অনলাইনে ক্লাস করলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে শিশুরা। এই আশঙ্কা থেকেই অনলাইন ক্লাসের সময়সীমা বেধে দিল এইচআরডি মন্ত্রক। প্রাজ্ঞতা নামক গাইডলাইন প্রকাশ করে অনলাইন ক্লাসে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে এইচআরডি মন্ত্রক। গাইডলাইন অনুযায়ী প্রি-প্রাইমারি অর্থাৎ প্রাক-প্রাথমিকের কোনভাবেই দিনে ৩৯ মিনিটের বেশি ক্লাস করানো যাবে না।

প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত দুটি সেশনের ক্লাস করানো যাবে তবে কোন সেশনের ক্ষেত্রে সময় ৪৫ মিনিটের বেশি যেনো না হয়। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চারটি সেশনে ক্লাস করানো যাবে। তবে গাইডলাইনের বলা হয়েছে এ সেশন গুলি সর্বোচ্চ মেয়াদ ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হতে পারে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ পখরিয়াল বলেছেন, করোনা মোকাবিলায় স্কুলগুলিকে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে, শিক্ষাদান ও শিক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়ে একটু ভাবতে হবে এবং কমাতে হবে কাজের সময়। পড়ুয়াদের পড়ানোর জন্য নতুন নতুন ভাবনা ভাবতে হবে। নতুন কোন পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে। বাড়ি ও স্কুলকে মিলিয়ে সঠিক স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতিতেই পড়াতে হবে পড়ুয়াদের।

দেশজুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। ফলে এই পরিস্থিতিতে কবে স্কুল খুলবে তার নিশ্চিত ভাবে এখনও সম্ভব নয়। তাই বেশিরভাগ স্কুলই অনলাইন ক্লাসেই সিলেবাস শেষ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর তার জন্যই কখনো কখনো কোন কোন স্কুল ক্লাসের সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে ছাত্রদের স্ক্রিন টাইম বাড়ায় আশঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অভিবাবকরা। তাই পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে নতুন গাইডলাইন জারি করল মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *