আমাদের ভারত, ২ মার্চ: যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয় তাহলে সেই যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার হবে। বুধবার এমনটাই হুঁশিয়ারি দিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সেরগেই ল্যাভরভ। ইউক্রেনের ওপর তারা যে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে তার পাল্টা হিসেবে কিয়েভ যদি মস্কো বাহিনীর বিরুদ্ধে পারমাণবিক হাতিয়ার ব্যবহার করে, তাহলে তার ফল হবে মারাত্মক। এক্ষেত্রে ইউক্রেইন তার বিপদ ডেকে আনবে বলে হুমকি দিয়েছেন রুশ বিদেশ মন্ত্রী।
অতীতে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারের ভয়াবহ রূপ দেখেছে গোটা বিশ্ববাসী। হিরোশিমা-নাগাসাকির ভয়ঙ্কর স্মৃতি আজও ভোলা সম্ভব হয়নি। তাই সে ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতে বিভিন্ন দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক স্তরে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। কিন্তু তার পরেও পারমাণবিক হাতিয়ার ব্যবহারের সম্ভাবনা কমে যায়নি। পারমাণবিক অস্ত্র বর্জনের কথা যেসব দেশ প্রকাশ্যে বলে থাকে বাস্তবে তাদের কাছেই এই প্রযুক্তি মজুদ রয়েছে। প্রয়োজনমতো এই অস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণও তারা করেছে।
তাই এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলায় প্রমাদ গুনছে সকলে। যুদ্ধ বিশ্লেষকদের একাংশের অনুমান এই যুদ্ধ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত গড়াতে পারে। আমেরিকা, রাশিয়ার মতো সুপার পাওয়ার এই যুদ্ধে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। ফলে বিবাদ চরমে উঠল অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটতেই পারে। আর পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার এক্ষেত্রে যে কোনো ব্যাতিক্রম হবে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এর আগে রাশিয়ার অন্যতম সহযোগী বেলারুশ জানিয়েছে, ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের আবহে পশ্চিমের কোনও দেশ তাদের উপর হামলা চালালে তার ফল ভালো হবে না। প্রয়োজনে শত্রুদের বিরুদ্ধে পারমাণবিক হাতিয়ার তুলে নিতে পিছপা হবে না তারা। আর এবার রুশ বিদেশমন্ত্রী নিজেই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি দিলেন। তবে, তিনি ইউক্রেনের কাঁধে বন্দুক রেখে গুলি চালিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। কিন্তু বাস্তব হলো এই হামলা শুরু করেছিল মস্কো, কিয়েভ নয়। যদিও রাশিয়া এই হামলাকে যুদ্ধ বলতে নারাজ। তাদের বক্তব্য এটা সামরিক অভিযান।
জানা গেছে ইতিমধ্যেই মস্কোর পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডারের দায়িত্বে থাকা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।