আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২০ জুলাই: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সন্দেহজনক ভাবে ঘুরাঘুরি করার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া তিন যুবকের জামিন নাকচ করল জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। মূল অভিযুক্ত যুবক শহরের দেশবন্ধু পাড়ার বাসিন্দা অভিষেক রায়কে দুই দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করল আদালত। বাকি দু’জন অভিষেকের বন্ধু নিউটাউন পাড়ার বাসিন্দা বলরাম ঘোষ ও গাড়ির চালক মোহিত নগরের বাসিন্দা অমিত ঘোষকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক বলে জানালেন সহকারি সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “তিন যুবকের মধ্যে অভিষেকের বিরুদ্ধে ভুয়ো সরকারি অফিসারের পরিচয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। নিজেকে আইবি এমনকি পিএম অফিসের কর্মী বলে দাবি করে সীমান্তে গিয়ে ছবি তুলেছিল। ধৃতদের মোবাইল ও গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে বিএসএফ।” চার চাকা গাড়ি, গাড়ির সামনে ‘পুলিশ’ লেখা রয়েছে। সেই গাড়ি করে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের মাণিকগঞ্জ এলাকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সন্দেহজনক ভাবে ঘুরাঘুরি করছিল তিন যুবক। কৌটিল্য বিওপি ও মহাদেব বিওপি এলাকায় ঘুরাঘুরি করছিল তাঁরা। যেই এলাকায় কাঁটাতার নেই ওই এলাকায় কী উদ্দেশ্যে তারা ঘুরাঘুরি করছিল তা এখনও পরিস্কার নয়। বিএসএফ গাড়ি আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই অভিষেক নিজেকে গোয়েন্দা বিভাগের কর্মী বলে দাবি করেন, আবার কখনও পিএম অফিস ও এসবির লোক বলে দাবি করেন৷ যদিও কোনও কাগজ দেখাতে পারেনি সে। এরপরেই অভিষেক সহ আরও দু’জনকে বিএফএফ শুক্রবার রাতে আটক করে। শনিবার তাদের কোতোয়ালি থানায় তুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবার জেলা আদালতের সিজেএম কোর্টে তোলা হলে জামিন নাকচ করে আদালত।
অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবী অভিজিৎ সরকার বলেন, “বিএসএফের অভিযোগ রয়েছে, এরা নিজেদের আইবি এমনকি পিএমের লোক বলেছিল। এই কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমে জামিন যোগ্য ছিল পরে জামিন অযোগ্য মামলা করা হয়েছে।”