আমাদের ভারত, পূর্ব বর্ধমান, ৩ নভেম্বর: অস্বাভাবিক মৃত্যু হল একই পরিবারের তিনজনের। পরিবার লোকজন জানিয়েছে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে তারা। কিন্তু কিভাবে তিনজন অগ্নিদগ্ধ হল সেই তদন্ত শুরু করেছে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর থানার বাঘাসন গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মন্তেশ্বর থানার বাঘাসন গ্রামের বাসিন্দা সুদেব চন্দ্র দে কাটোয়া রেল পুলিশে কর্মরত ছিলেন। আজ ভোর নাগাফ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সুদেব চন্দ্র দে (৩৯) তার স্ত্রী রেখা দে (২৮) ও তার ছেলে স্নেহাংশু দের(৮) মৃতদেহ উদ্ধার করে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। দরজা ভেঙ্গে পুলিশ দেহগুলি উদ্ধার করে। এছাড়া সুদেব দের মেয়েকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবারের দাবি আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে তারা। কিন্তু কী কারণে ঘটনা ঘটল তার পরিবারের লোকজন বলতে পারেনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ।
স্থানীয়দের দাবি সুদেব দে তার স্ত্রীকে সন্দেহের চোখে দেখতেন। সেই কারণেই হয়তো এই ঘটনা ঘটেছে।
মৃতের পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, এদিন ভোর নাগাদ সুদেবের মেয়ে ফোন করে তার কাকাকে ঘটনার কথা জানায়। তারা তড়িঘড়ি উপরের ঘরে গিয়ে দেখে ঘর ভিতর থেকে বন্ধ।দরজার ভিতরে সামনে আলমারি দিয়ে আটকানো ছিল। কোনরকমে মেয়েটিকে তারা উদ্ধার করে। গতকাল রাতেও সুদেব ও তার স্ত্রী সকলেই স্বাভাবিক ছিল। তারা রাতে পরিবারের সঙ্গে গল্পগুজব ও আড্ডাও দেয়। তারপরে এই ঘটনা কী করে ঘটল তা তারা ভেবে উঠতে পারছে না তারা।