আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, বীরভূম, ২৬ ফেব্রুয়ারি: দিনে দুপুরে ছাত্রীকে ইভটিজিং করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা পথ অবরোধ করলে অভিযুক্তরা তাদের উপর চড়াও হয়। অভিযুক্তদের ছোড়া ইটে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী জখম হন। পুলিশ তিনজনকেই আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মাড়গ্রাম থানার নতুন গ্রামে।
জানা গিয়েছে, ছাত্রীর বাড়ি মাড়গ্রাম থানার তেঁতুলিয়া গ্রামে। ওই ছাত্রী নিয়মিত সাইকেলে চড়ে বসোয়া গ্রামে কম্পিউটার শিখতে যায়। সোমবার সকালে কম্পিউটার সেন্টার থেকে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় নতুন গ্রামের কাছে পিছন থেকে তিন যুবক মেয়েটার পিঠে থাপ্পর মারে। কটুক্তিও করে। ছাত্রী বাড়ি ফিরে পরিবারকে সব কথা জানায়। এরপরেই পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ছবি দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে মাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য বাসার শেখের ছেলে ফুলবাবু শেখ। বাড়ি নতুন গ্রাম সংলগ্ন মেলেডাঙ্গা গ্রামে। তার দাদা নাজমুল শেখের স্ত্রী বর্তমানে বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য।
এই ঘটনার প্রতিবাদে দুপুরে বিষ্ণুপুর– তেঁতুলিয়া রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রীর পরিবারের লোকজন এবং গ্রামবাসীরা। সেই সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছোন ফুলবাবুর বাবা বাসার শেখ। তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা। সেই সময় অভিযুক্তরা লাঠি, রোড, ইট নিয়ে অবরোধকারীদের উপর চড়াও হয়। অভিযুক্তদের ছোড়া ইটের ঘায়ে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী জখম হন।
ছাত্রী বলেন, “আমরা মেয়েরা একা স্কুলে যাই, কম্পিউটার শিখতে যায়। দিনের বেলা দুষ্কৃতীরা এভাবে গায়ে হাত দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছি। আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই মনে হচ্ছে। আমি অভিযুক্তদের শাস্তি চাই”।
বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রান্তিক দাস বলেন, “তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দাপটে আমরা আতঙ্কিত। দিনের বেলা এরকম হলে আমরা মেয়েদের স্কুল, কলেজে পাঠাব কিভাবে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই”।

