আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ৯ আগস্ট:
ভাঙড়ে জমি জীবীকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সদস্যরা শনিবার যোগ দিল তৃণমূলে। প্রায় তিনশো আন্দোলনকারী দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শুভাশিষ চক্রবর্তীর হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন বলে জানান ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলাম।
দেশ তথা রাজ্য জুড়ে করোনা সংক্রমণ থেকে মৃত্যু লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। চলছে সাপ্তাহিক লকডাউন। এরই মধ্যে থেমে নেই রাজনীতি। থেমে নেই দলবদলও। বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতেই দলবদলের রমরমা আরও জোরদারভাবে শুরু হয়েছে। ভাঙড়ের একদা অশান্ত পোলেরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পাওয়ার গ্রিড এলাকা থেকে জমি কমিটি ছেড়ে এদিন তৃণমূল যোগদান করেছেন প্রায় তিনশো পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনকারী।
রবিবার পোলেরহাট বাজারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ শুভাশীষ চক্রবর্তীর উপস্থিতে এই দলবল হয়। জমি কমিটি ছেড়ে আসা কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলা সভাপতি শুভাশীষ চক্রবর্তী। তৃণমূল সুত্রের খবর, ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম, ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অহিদুল ইসলাম সহ যুব নেতা হাকিমুল ইসলামের নেতৃত্বে পাওয়ার গ্রিড এলাকার শ্যামনগর, স্বরূপনগর, মিদ্দেপাড়া সহ মাছিভাঙ্গা গ্রাম থেকে প্রায় তিনশোজন জমি কমিটি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন।
পাল্টা জমি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে এখন মানুষের পাশে থাকা উচিৎ, সেখানে তৃণমূলের নেতারা আমফানের টাকা লুট করে রাজনীতি করতে নেমেছেন”।
পাল্টা আরাবুল ইসলামের মন্তব্য, “করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে নেই জমি কমিটি, তারা আন্দোলনের নামে মানুষের টাকা লুট করেছে তাই জমি কমিটি ছেড়ে অনেকেই তৃণমূলে যোগদান করেছেন।”
এদিন শুভাশীষ চক্রবর্তী বলেন,“ভাঙড়ে আজ জমি কমিটি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন বহু মানুষ। এইভাবে জেলা জুড়ে মানুষ বিরোধী দল ছেড়ে তৃণমূলে আসবেন বলে আমাকে দলীয় নেতারা জানিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতি একটু শান্ত হলেই জেলায় বিরোধীদের টিকিও খুঁজে পাওয়া যাবে না।”

