পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১০ মে: নিজেদের ইচ্ছা আইপিএস হওয়া, কিন্তু বাড়িতে চাপ আসে এই বয়সে পড়াশোনা ছেড়ে বিয়ে করে নেওয়ার জন্য। তিন সাহসী কিশোরী বিয়ে করবে না, তারা পড়াশোনা করে বড়ো হয়ে নিজেদের পায়ে দাঁড়াবে। এটাই তাদের স্বপ্ন। তাই নিজেদের স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ির সিদ্ধান্তের অমতে গিয়ে তারা যোগাযোগ করে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও বিডিও’র সঙ্গে।
এই তিনটি মেয়েকে আজ জেলাশাসকের কার্যালয়ে এই সিদ্ধান্তের জন্য সাহসিকতার পুরস্কার তুলে দেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী। এই কিশোরীদের সাহস আরো বাড়ানোর জন্য উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য সরকারি অধিকারীকরা।
মেয়েগুলি জানান, তাদের বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়, কিন্তু এই বয়সে তারা বিয়ে করতে নারাজ। তারা চায় পড়াশোনা করে আগামী দিনে আরো এগিয়ে যেতে। তাদের স্বপ্ন আগামী দিনে আইপিএস হওয়ার।
এদিন জেলা শাসক জানান, এই জেলায় নাবালিকার বিয়ে, নাবালিকার অন্তঃসত্ত্বা হওয়া, নাবালিকা ধর্ষন এগুলি যাতে এই জেলায় কমানো যায় তার জন্য তিনি সচেষ্ট। এছাড়াও আগামী দিনে জেলার স্কুলে স্কুলগুলিতে যাতে এই বিষয়গুলির ওপর ক্যাম্প করা হয়, তার কথাও তিনি জানান।