স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ২৯ সেপ্টেম্বর: একটানা বৃষ্টির জেরে নাগর নদীর জলস্ফীতি চরমসীমায়। রায়গঞ্জের ২ নম্বর জগদীশপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বহু এলাকার কৃষি জমি থেকে রাস্তাঘাট সব জলের তলায়, চরম দুর্ভোগে কয়েক হাজার মানুষ। এলাকার বহু বাড়িতে জল ঢুকে গিয়ে রায়গঞ্জের বিস্তীর্ণ গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা বিপাকে পড়েছেন। বহু এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের ফ্লাড সেন্টারে রাখার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ত্রান সামগ্রী বন্টনের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি বহু জমির ফসল জলে ডুবে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চাষীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
নাগর, নদীর জলে প্লাবিত হয়ে গিয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের জগদীশপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। বিভিন্ন গ্রামে যাতায়াত করার রাস্তা ও চাষের জমি চলে গিয়েছে জলের তলায়। সেসব জায়গায় মানুষের ভরসা নৌকা। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জগদীশপুর গ্রামপঞ্চায়েতের খারি সরিয়াবাদ, বটতলা, বরবনতলা, গোবিন্দপুর, গোপালপুর সহ বহু গ্রাম নাগর নদীর জলে প্লাবিত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে হাজার হাজার গ্রামবাসী। অভিযোগ, ব্লক বা জেলা প্রশাসনের এখনও পর্যন্ত দেখা মেলেনি।
ছয়দিন ধরে জলবন্দী হয়ে আটকে রয়েছেন তাঁরা। পৌঁছয়নি কোনও ত্রাণ সামগ্রী। বন্যার জেরে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষের জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চাষের জমিতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় ধান ও সবজির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রায়গঞ্জ ব্লকের ভাতুন, গৌরী, বাহিন, শীতগ্রাম গ্রামপঞ্চায়েতগুলির কয়েকশো গ্রামের হাজার হাজার পরিবার নাগর নদীর জলস্ফীতির কারনে সমস্যায় পড়েছেন। এলাকার সমস্ত পানীয় জলের টিউবওয়েল জলের তলায় চলে যাওয়ায় পানীয় জলের চরম সমস্যায় রয়েছেন গ্রামের সকলেই। বাধ্য হয়ে অনেকেই বন্যার জলই পান করছেন। কোনও কোনও জায়গায় সাত আট দিন ধরে উঁচু কোনও বাড়িতে একটা ঘরেই আট দশজন মানুষ আটকে পড়ে রয়েছেন। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে কিভাবে তার চিকিৎসা হবে তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন দুর্গত বাসিন্দারা।