এবছর চিনা আলোকে টক্কর দিচ্ছে দেশীয় মোমবাতি

স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ৪ নভেম্বর: করোনা আবহে চিনা এলইডি বাতির চাহিদা কমে যাওয়ায় দীপাবলিতে মোমবাতি শিল্প ভালো হওয়ার আশায় খুশী রায়গঞ্জের কারখানার মালিক থেকে শ্রমিকরা। দীপাবলির আগে ব্যাপক ব্যস্ততা রায়গঞ্জ শহরের কলেজপাড়ার মোমবাতি তৈরির কারখানায়।

কয়েক বছর ধরে ঝকমকি চিনা এলইডি লাইটের দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছিল দীপাবলির মোমবাতি। গৃহস্থরা বাড়িতে বাড়িতে কম খরচে এলইডি লাইট লাগিয়ে উদযাপন করছিলেন দীপাবলির উৎসব। কিন্তু এবছর করোনার কারনে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে দীপাবলির মোমবাতি শিল্প। সাধারন মানুষ চিনা বাজারের এই এলইডি লাইটকে এবার প্রায় বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে চাহিদা বাড়ছে দীপাবলির মোমবাতির।

রায়গঞ্জের মোমবাতি তৈরির কারখানার মালিক সুধাংশু সাহা জানিয়েছেন, করোনার পর সরকার চিন থেকে আসা ইলেক্ট্রিকের বিজলি বাতি, টুনি বালব সহ এলইডি লাইট আমদানি বন্ধ করে দেওয়ায় এবং সাধারন মানুষও চিনা বাজারের ঝকমকি এলইডি লাইটের ব্যবহার বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়ায় তাদের কারখানার উৎপাদিত মোমবাতির চাহিদা একলাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। মোমবাতি পাইকারি ক্রেতারা এবছর প্রচুর পরিমানে দীপাবলির মোমবাতি অর্ডার দেওয়ায় ব্যাবসা বাড়বে বলে আশা তাদের।

গত বছরের তুলনায় এবছর দীপাবলির মোমবাতির চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে রায়গঞ্জ শহরের কলেজপাড়ার মোমবাতি কারখানাগুলিতে এখন চরম ব্যস্ততা। দিনরাত এক করে কারখানার শ্রমিকরা তৈরি করে চলেছেন দীপাবলির মোমিবাতি। করোনা আবহে অন্যান্য ব্যবসা সেভাবে লাভজনক না হলেও চিনা বাজারের ঝকমকি এলইডি লাইটের আমদানি বন্ধ হওয়ায় দেশীয় মোমবাতির ব্যবসায় আগের বারের চাইতে অনেক বেশি লাভ হবে বলে আশা করছেন মোমবাতি তৈরির কারখানার মালিক ও মোমবাতি ব্যবসার সাথে যুক্ত ব্যাবসায়ীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *