রাজেন রায়, কলকাতা, ৩০ আগস্ট: সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কি ভাবে রেশন দেওয়া যায়, তার জন্য এবার নয়া পন্থা বার করল খাদ্য দফতর। এবার রেশনেও মোবাইল ফোনের ওটিপি পদ্ধতির প্রয়োগ করা হবে। রেজিস্টার্ড নম্বরে চলে আসবে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড। দোকানে সেটি দেখালেই পাওয়া যাবে রেশন। এতে হাতে হাতে রেশন কার্ড দেওয়ানেওয়া প্রয়োজন হবে না।
করোনা মহামারীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, আগামী ২০২১ পর্যন্ত সবার জন্য থাকবে বিনামূল্যে রেশন। কিন্তু কার্ড দেওয়া নেওয়া বা ই-পিওএস মেশিনে আঙুল ছুঁইয়ে সেই রেশনই তো নিতে হচ্ছে। ফলের পুরোমাত্রায় সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।
তাই এই পদ্ধতিকে কী করে বদল করা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছিল খাদ্য দপ্তর। সাধারণত আঙুলের ছাপের পাশাপাশি গ্রাহকের পরিচয় যাচাই করা যায় মোবাইল নম্বরের মাধ্যমেও। আপত্তি আসায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি রাজ্যে ই-পিওএস মেশিন বন্ধ করা হয়েছে। ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থাও এই মেশিন চালাতে সমস্যার সৃষ্টি করেছে। আর নেটওয়ার্কে সমস্যা হলে আঙুলের ছাপের মাধ্যমে ‘বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন’ সফল নাও হতে পারে। আধার নম্বরের মাধ্যমে আঙুলের ছাপ যাচাই না হলে রেশন গ্রাহক খাদ্যসামগ্রী পেতে সমস্যায় পড়বেন। কিন্তু ফোন নম্বরের সাহায্যে রেশন গ্রাহকের পরিচয় যাচাই হলে এই সমস্যা হবে না। সেক্ষেত্রে রেশন কার্ড নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনই পড়বে না।
খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, রেশন বণ্টন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার জন্যই এরকম বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রেশন গ্রাহকদের আধার ও মোবাইল নম্বর সংযুক্তিকরণের জন্য বিশেষভাবে সক্রিয় হয়েছে খাদ্যদপ্তর। ই-পিওস যন্ত্রের মাধ্যমে গ্রাহকদের এই দু’টি নম্বর নথিভুক্ত করার জন্য ডিলারদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আধার ও মোবাইল নম্বর নথিভুক্ত করলে কী কী সুবিধা গ্রাহক পাবেন, তাও বিস্তারিতভাবে জানানো হবে। এই ব্যবস্থায় কারও বরাদ্দ খাদ্যসামগ্রী অন্য কেউ তুলতে পারবেন না। তবে কেউ কারচুপি করে কারোর মোবাইলের ওটিপি জেনে নিয়ে খাদ্যশস্য তুলে নিলে গ্রাহকরা অভিযোগ জানাতে পারেন। তবে আধার সংযুক্তিকরণ থাকায় সেই সম্ভাবনা কম।

