আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ৬ নভেম্বর: দুর্গাপুজো আর লক্ষ্মীপুজোয় প্রতিমা সেভাবে বিক্রি না হওয়ায় আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে চাতক পাখির মত অপেক্ষায় রয়েছেন রায়গঞ্জের মৃৎশিল্পীরা, যদি কালীপুজোয় মূর্তি বিক্রি করে কিছু অর্থ রোজগার হয়। তবে আশঙ্কা সাধারন মানুষ করোনা আবহে তেমনভাবে উৎসবে শামিল না হওয়ায় কালীপুজোতেও আশানুরূপ ফললাভ তাঁরা পাবেন না। তবুও কালীপুজোকে ঘিরে আশায় আছেন রায়গঞ্জের কুমোরটুলি কাঞ্চনপল্লীর মৃৎশিল্পীরা।
করোনা আবহের জেরে মানুষের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করায় উৎসবের মরশুমের শুরুতেই দুর্গাপুজায় আগের মতো মহাসমারোহে পুজো করতে পারেনি পুজো কমিটিগুলো। বাজেট কাটছাঁট করে একেবারে ছোট আকারের পুজো করেছে উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জ শহরের পুজো কমিটিগুলো। এরফলে কোপ পড়েছে রায়গঞ্জের মৃৎশিল্পীদের উপরেই। আগে থেকেই বড় বড় প্রতিমা তৈরি করে রাখায় তা কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে। আশা ছিল লক্ষ্মীপুজো ঘরে ঘরে হবে আর বিক্রি হবে লক্ষ্মী প্রতিমা। আর সেকারনে প্রচুর পরিমানে লক্ষ্মী প্রতিমা করেও তা অবিক্রিত থেকে যায়। এবার কালীপুজোকে ঘিরে আশায় বুক বাঁধছেন মৃৎশিল্পীরা। আগের চাইতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় যদি কালীপুজোয় তাদের তৈরি প্রতিমা বিক্রি হয় সেই লক্ষ্যে একের পর কালী প্রতিমা তৈরি করে চলেছেন মৃৎশিল্পীরা।