রাজেন রায়, কলকাতা, ৭ জানুয়ারি: লকডাউনের সময় দীর্ঘদিন নাগরিকদের কাছ থেকে বকেয়া কর আদায় করা যায়নি। কিন্তু করোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজকর্ম চালানোর জন্য পুরসভা স্বাস্থ্য খাতে প্রচুর টাকা খরচ হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণে পুরসভা চালু করেছিল ওয়েভার স্কিম। আবেদন করার সেই সময়সীমা এক মাস বাড়িয়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে। এই আবেদনে যাতে মানুষ আরও বেশি করে সাড়া দেয়, তার জন্য মাইকে প্রচার, টিভি-রেডিওতে বিজ্ঞাপন, লিফলেট বিলির পাশাপাশি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটকেও হাতিয়ার করছে পুরসভা।
কিন্তু, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কর তো জমা পড়েইনি। উপরন্তু, কর বকেয়া রাখা নাগরিকরাও কুলুপ এঁটেছেন। পাশাপাশি কর বকেয়া রাখা সম্পত্তির মালিকদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে সমীক্ষা শুরু করল পুরসভার কর মূল্যায়ন বিভাগের আধিকারিক ও কর্মীরা।
পুরসভা সূত্রের খবর, তিন ভাগে বিভক্ত এই সমীক্ষা। কে বকেয়া কর দিতে একেবারেই অনাগ্রহী, কার পক্ষে দেওয়া অত্যন্ত কষ্টসাধ্য এবং কোন কোন সম্পত্তির কর মূল্যায়ণ নিয়ে জটিলতা রয়েছে, এই তিনটি বিষয় সমীক্ষা করা হবে। বাড়ি বাড়ি প্রচারের সময় যে সম্পত্তিগুলির কর মূল্যায়ণ নিয়ে জটিলতা রয়েছে, সেই মালিকদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে যাবতীয় নথি নিয়ে আলোচনায় বসবেন পুরআধিকারিকরা। এতে পুরসভার কোষাগারে অর্থ এলে তাতে পুরসভার কিছুটা অক্সিজেন মিলবে।
প্রসঙ্গত, বিপুল পরিমাণ বকেয়া সম্পত্তি কর আদায়ে ওয়েভার স্কিম চালু করেছিল কলকাতা পুরসভা। লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল অন্তত ৭৫০ কোটি টাকা। অথচ, নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত জমা পড়েছে মাত্র ১১৯ কোটি টাকা।