রাজেন রায়, কলকাতা, ১৯ জুলাই: অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের কারণ জানতে চেয়ে শনিবার রাজ্যের সমস্ত সংবাদপত্রে সিইএসসি কে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী। সেই মতো তাঁরা তাদের বক্তব্য পেশ করলেও তাতে সন্তুষ্ট নয় রাজ্য। নবান্নের তরফে অ্যাডভাইজারি পাঠানোর পাশাপাশি ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের তরফ থেকে সোমবার তাদের নোটিশ পাঠানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বিদ্যুৎমন্ত্রীর পর এবার ওই সংস্থার বিরুদ্ধে সরব হলেন ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডেও। তিনি বলেন, “লকডাউনের ফলে ঠিকমতো মিটার রিডিং নেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও অতিরিক্ত বিলের বোঝা সাধারণ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যদিও এই অতিরিক্ত বিল কেন, তার কোনও ব্যাখ্যা মিলছে না।’ মন্ত্রীর দাবি, লকডাউনে বহু মানুষের উপার্জন কমেছে। তার মধ্যে এভাবে বিল পাঠালে কি ভাবে দেবেন মানুষ? তাই আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার বেসরকারি ওই বিদ্যুৎ সংস্থাকে নোটিস পাঠাবে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর।
আমফানের পরবর্তী সময়ে শহরাঞ্চলের বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে বহুদিন লেগে গিয়েছিল সিইএসসির। ফলে এমনিতেই বিদ্যুৎহীন ছিলেন শহরের বহু মানুষ। তার ওপর এই মাত্রাতিরিক্ত বিলের চাপে আবারও ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে জনমানসে। যদিও সিইএসসি-র দাবি, করোনা সংক্রমণের জেরে মার্চ থেকে লকডাউন জারি থাকার ফলে বেশ কয়েকমাস মিটার রিডিং নেওয়া বন্ধ ছিল। স্বাভাবিকভাবেই এপ্রিল ও মে মাসে অনুমানের ভিত্তিতে বাৎসরিক গড়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের নিরিখে বিল পাঠানো হয়েছে। জুন থেকে ফের মিটার রিডিং শুরু হলে পুরনো সেই বাড়তি ইউনিট বিলে যুক্ত হয়েছে। গ্রীষ্মকালের জন্যই অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে, যা তুলনামূলক বেশি। যদিও এত বছর ধরে গ্রীষ্মকালে একাধিক বৈদ্যুতিন সামগ্রী ব্যবহার করেও আসেনি বলে দাবি গ্রাহকদের।