রাজেন রায়, কলকাতা, ২৮ জানুয়ারি: বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের শক্তি বৃদ্ধি করল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ‘জাগ্রত বাংলা’র অনুষ্ঠানে রাজ্য পুলিশে আরও নিয়োগের কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০০ জনেরও বেশি চাকরিপ্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে এবারের নিয়োগ তালিকায় রয়েছেন আত্মসমর্পণকারী মাওবাদী ও কেএলও জঙ্গিরা। সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন এই ব্যক্তিদের ফের সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোর কারণে পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী।
বিশেষত রাজ্যে জঙ্গলমহলে বাম আমলে মাওবাদী কার্যকলাপ বহুদিন স্তিমিত হয়ে গেলেও সাম্প্রতিক সময়ে সেই কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে জঙ্গলমহলে মাওবাদী কার্যকলাপ প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ না হয়, তার জন্য সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে ইচ্ছুক একাধিক মাওবাদী এবং কেএলও জঙ্গিদের আলাদাভাবে রাজ্য পুলিশে নিয়ে আসার চেষ্টা শুরু করেছিল রাজ্য প্রশাসন। আর এই কাজে মূল ভূমিকা ছিল ওই এলাকাগুলির পুলিশকর্তাদের। এদিন এই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া ছাড়াও পুলিশের অন্যান্য সুবিধার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুলিশের ‘কম্পেনসেশন পে লিভ’ বাড়িয়ে ৬০ দিন করা হল। এই অতিরিক্ত ছুটি আগে ছিল ৩৯ দিন। মুখ্যমন্ত্রী এর আগে তা বাড়িয়ে ৫২ দিন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার তা আরও বাড়ানো হল। ছুটি না নিলে তার বিনিময়ে টাকাও পান রাজ্য পুলিশকর্মীরা।
এছাড়াও এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকেই
ভার্চুয়াল মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী রাজারহাটে আদিবাসী ভবন, লেপচা ভবন, বনহুগলিতে বনরিনি মার্কেট কমপ্লেক্স, তারাপীঠে নবনির্মিত মহাতোরণ-সহ একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, কোনও কারণে জীবনে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হলে ভেঙে পড়ার কারণ নেই, জীবন বিসর্জন দেওয়ার কথাও ভাবা অনুচিত। বরং কাছের মানুষদের সঙ্গে কথা বলে, আলোচনা করে সমাধানের উপায় বের করতে হবে। পুলিশের প্রতি তাঁর বার্তা, সমন্বয় রেখে কাজ করুন, নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া আরও বাড়ান। তাহলে আরও শক্তিশালী হবে রাজ্য পুলিশ।