পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ৭ জানুয়ারি: এবার ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি জিতবে। নওশাদ ভাই যদি ওখানে দাঁড়ায় তাহলেও (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) ওখানে থার্ড হবে। বিজেপি ও আইএসএফ- এর লড়াই হবে। নেতাই শহিদ বেদীতে শহিদ তর্পণ করতে এসে লালগড়ের এসআই চকে দাঁড়িয়ে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
হাইকোর্টের নির্দেশ অনুয়ায়ী লালগড়ের নেতাইয়ে রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ পৌঁছোয় শুভেন্দু অধিকারী। শহিদ বেদীতে গঙ্গাজল দিয়ে পরিষ্কার করার পর নিজের রুমাল দিয়ে তা মুছে দেন তিনি। তারপরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে শীতবস্ত্র এবং সাহায্য তুলে দেন নিহত এবং আহত পরিবারের সদস্যদের। তারপর নেতাই গ্রামে একা আহত পরিবারের বাড়িতে গিয়ে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে খাবার খান তিনি। এরপর মোমবাতি জ্বালিয়ে বেরিয়ে আসেন লালগড় বাজারে।
লালগড় বাজারে মোমবাতি মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারী। মোমবাতি মিছিল শেষে লালগড়ের এসআই চকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “২০১১ সাল থেকে নেতাই গণ হত্যায় আহত ও নিহতদের পাশে থাকা, সীমিত ক্ষমতার মধ্য দিয়ে করে আসছি। ২০২২ সালে হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও চার হাজার পুলিশ দিয়ে আমাকে আটকে দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালে আর বিরোধীতায় না গিয়ে ৩০ জানুয়ারি তর্পণ করতে এসেছিলাম নেতাই গ্রামে। এবারে দলের পক্ষ থেকে মন্ডল সভাপতি পুলিশের অনুমতি চেয়েও না পাওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ৬ এবং ৭ জানুয়ারি তৃণমূলের বিপ্লব হবে, কায়দা করে সব আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। শহিদদের ছবি নেই, অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে গালিগালাজ করেছেন নাম না করে আমাকেও উদ্দেশ্য করে অনেক কিছু বলেছে। চার লক্ষ টাকা খরচ করে ৬১টি গাড়ি ভাড়া করার পরেও ২৩০ জনকে নিয়ে এদিনে কর্মসূচি করেছে তৃণমূল। এখানে ওদের সঙ্গে মানুষ নেই। লজ্জা লাগে ঝাড়গ্রাম পুলিশকে। পুলিশ সুপার একজন ডিএসপিকে কোর্টে পাঠিয়েছিলেন আহত, নিহত এবং গ্রামবাসীরা শুভেন্দু অধিকারীকে চায়না বলে। আদালতকে কৃতজ্ঞতা জানাবো অনুমতি দেওয়ার জন্য। মাইক, পতাকা রাজনৈতিক কোনো বক্তব্য ওখানে রাখিনি। শহিদ বেদী, গঙ্গাজল দিয়ে পরিষ্কার করার পর রুমাল দিয়ে মুছে ধূপ মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রণাম করেছি। তারপরে আলুর তরকারি, বেগুন ভাজা, রুটি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন একটি পরিবার। আপ্যায়ন আমি স্বীকার করি। ২৯ জন আহতদের মধ্যে ২৫ জন এবং ৯ জন নিহতদের মধ্যে ৭ জন এদিন শীতবস্ত্র এবং সাহায্য নিয়েছেন”।
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “গণতান্ত্রিকভাবে ভোট করতে দিন, লুট করবেন না, তাহলে দুধ আর জল আলাদা হবে। ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থীকে হারাবে বিজেপি প্রার্থী। নিজের বিধানসভা এলাকায় কিভাবে ভোটারদের ঘুষ দেওয়া হচ্ছে তা তদন্ত করার জন্য আমি ইনকাম ট্যাক্সকে অনুরোধ করবো বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য। যেখানে দুয়ারে সরকারে ক্যাম্পে গিয়ে ছুটে ছুটেও জুতা ছিঁড়ছে গ্রাম বাংলার মানুষদের সেখানে নিজের এলাকায় রাজ্য সরকারকে দিয়ে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের অন্যান্য বিধায়করা বঞ্চিত হচ্ছেন। ডায়মন্ড হারবারে ২০১৯ সালে ১৫ জন মন্ডল প্রেসিডেন্টকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দিয়েছিল। এবারে লড়াই হবে ভাবতে হবে না, পার্টি হবে এবং ওকে হারাবে। নওশাদ সিদ্দিকী দাঁড়ালে ওখানেও থার্ড হবে, আমাদের সাথে লড়াই হবে আইএসএফের। পিসি, ভাইপো মিলে ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। নতুন একটা বাড়ি করেছে, ৪ কোটি টাকা জায়গায় দু’কোটির বাড়ি করেছে গোটা গুষ্টিকে রেখেছে সেখানে”।
সন্দেশখালির ঘটনা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,
“শাজাহান সন্দেশখালির মধ্যেই রয়েছে, ওর ভবিষ্যৎ ভাবতে হবে না”। এসএসকেএমের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনহ বলেন ,”মণিময় ছটফট করছে, অরূপকে ফোন করে বলছে পদত্যাগ করবে।

