রাজেন রায়, কলকাতা, ৯ ডিসেম্বর: কয়লা পাচার কাণ্ডে ফের যুগ্ম সক্রিয়তা শুরু সিবিআই এবং ইডি আধিকারিকদের। ইতিমধ্যেই আসানসোল আদালতে কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় জামিন পাওয়া অনুপ মাজির ৪ ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে দিল্লিতে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর মধ্যে বুধবার আসানসোল আদালতে জামিন না মঞ্জুর হয়েছে বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্রের। এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিকাশ মিশ্র। এবার সেখানেই তাকে গ্রেফতার করল সিবিআই।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চ মাসে দিল্লিতে কয়লা পাচার কাণ্ডে বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্রকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিছুদিন পরেই জামিন পায় বিকাশ। কিন্তু জামিন পাওয়ার পরেও তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না, এমন অভিযোগে বুধবার আসানসোল আদালতের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। এর প্রেক্ষিতে বুধবারই আসানসোল আদালতে বিকাশের জামিন বাতিল হয়। বৃহস্পতিবার বিকাশ চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় কলকাতার বাইপাস সংলগ্ন হাসপাতালে যায় সিবিআইয়ের একটি বিশেষ দল। তাকে সেখানে গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্রের খবর, চিকিৎসা শেষ হলেই বিকাশকে না ছাড়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সুস্থ হলেই বিকাশকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া হবে।
অন্যদিকে দিল্লিতে তলব করে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের পর বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে ইডি আধিকারিকদের। সূত্রের খবর, কয়লা পাচারের টাকা খাটানো হত এক প্রসিদ্ধ মিষ্টি ব্যবসার চেইনে এবং বেসরকারি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, পাচার কাণ্ডের রমরমার সময়ে কলকাতার এই প্রসিদ্ধ মিষ্টি ব্যবসায় চোখে পড়ার মত লাভ সন্দেহ বাড়িয়ে দেয় ইডি কর্তাদের। তদন্ত চালিয়ে জানা যায়, মিষ্টির দোকানে বিক্রি হওয়া মিষ্টির সঙ্গে বাজার থেকে কেনা ছানা বা অন্যান্য উপকরণের কোনও সামঞ্জস্য নেই। একই তথ্য উঠে আসে ওই মিষ্টি চেইন দোকান গুলোর বিল বা রশিদ পরীক্ষা করেও। তদন্ত চালিয়ে কয়লা পাচার কাণ্ডের অর্থযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পান তদন্তকারীরা। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য অনুসন্ধানের জন্য কলকাতার ওই মিষ্টি ব্যবসায়ী ও হাসপাতালের কর্ণধারকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসা বাদ চালাতে চাইছেন ইডি কর্তারা, এমনটাই জানা গিয়েছে।