আমাদের ভারত, ১৪ আগস্ট: একদম বেশি চিৎকার করবেন না। ভুল পথে চললেই যন্ত্রণাদায়ক পরিণতি ভোগ করতে হবে। বৃহস্পতিবার একরকম এই ভাষাতেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ সহ সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে সতর্ক করলো নয়া দিল্লি। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে রোজ রোজ ঘৃণা ভাষণ দেওয়া ঠিক হচ্ছে না। অবিলম্বে তা বন্ধ করুক ইসলামাবাদ। একটুও যদি ভুল পদক্ষেপ করে পাকিস্তান, তাহলে হিতে বিপরীত হবে। ওদের বেদনাদায়ক পরিণতির মুখে পড়তে হবে।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরো বলেন, আমরা বিভিন্ন খবরে দেখছি যে, পাকিস্তানি নেতৃত্ব ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার উস্কানি দিয়ে চলেছে। ওরা অপ্রয়োজনে ঘৃণা ছড়িয়ে হম্বিতম্বি করছে। যদিও এটা নতুন কোনো বিষয় নয়। পাকিস্তান বরাবর ভারতের বিরুদ্ধে তর্জন গর্জন করে চলে। ওদের এসবের কারণ হলো ওরা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে এসব করে বেড়ায়। কিন্তু এটা করতে গিয়ে যদি একটিও ভুল পদক্ষেপ করে ফেলে তাহলে সম্প্রতি যেভাবে কাজ হয়েছে, সেরকমই কপালে প্রবল দুঃখ নাচছে পাকিস্তানের। অর্থাৎ অপারেশন সিঁদুরের কথা মনে করিয়েছেন তিনি।
পাক প্রধানমন্ত্রী আল্লাহর স্মরণ নিয়ে বলেছেন, “আমাদের বীর সশস্ত্র বাহিনী পাক সেনা অতীতের গৌরব ফিরিয়ে এনেছে। প্রত্যাঘাতের মধ্যে দিয়ে আমরা শত্রুপক্ষের মিথ্যা অহংকারকে চুরমার করে দিয়েছি। ওদের আঘাতকে আমরা অভেদ্য দেওয়াল গড়ে দেশকে রক্ষা করেছি। আমাদের সামরিক ক্ষমতা সাহসী যোদ্ধাদের বিশ্বাস এবং আকাশ বীররা শত্রুপক্ষকে নতজানু করে দিয়েছে।” যদিও এরপরই পাক প্রধানমন্ত্রী শহীদ সেনাদের স্মরণ করে বুঝিয়ে দেন যে প্রকৃতপক্ষে অপারেশন সিঁদুরে কত পাকসেনা প্রাণ হারিয়েছেন।
দীর্ঘ বার্তায় শরিফ আরো লিখেছেন, এটা নেহাত কোনো সেনা সংঘর্ষ নয়, দ্বিজাতি তত্ত্বের সত্যের জয়। এটাই আমাদের রাষ্ট্র গঠনের শিকড়। এই একই আবেগে আমরা জল ভাগাভাগি থেকে দেশের সমস্ত স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে অতন্দ্র প্রহরির মতো দেশকে রক্ষা করে যাব। পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করে যাব। তাঁর আরও দাবি, পাক পাকিস্তান নাকি একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। “আমরা কূটনীতি ও আলোচনার ভিত্তিতে মীমাংসা চাই। ভারতেরও তেমন জম্মু-কাশ্মীর সমস্যার মতো কোনো বিষয়ে আলোচনায় বসা উচিত বলে দাবি করেছেন তিনি।